নওগাঁ প্রতিনিধি: তিন দিন পার হয়ে গেলেও শনিবার পর্যন্ত নওগাঁর পোরশা উপজেলার দুয়ারপাল সীমান্তের ওপারে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত দেয়নি। যদিও এ ঘটনার পর বিজিবির সঙ্গে পতাকা বৈঠকে দুঃখ প্রকাশ করে লাশ ফেরত দেয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বিএসএফ।
নিহত ওই দুই বাংলাদেশি হলেন, পোরশা উপজেলার বিষ্ণুপুর বিজলীপাড়ার শুকরার ছেলে সনজিত কুমার (২৭) ও উপজেলার কাটাপুকুর গ্রামের মৃত জিল্লুর রহমানের ছেলে কামাল হোসেন (২৮)।
নওগাঁ ব্যাটালিয়ন-১৬ বিজিবি ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, বুধবার রাতে দুয়ারপাল সীমান্ত দিয়ে কয়েকজন বাংলাদেশি রাখাল গরু আনতে ভারতে যান। বৃহস্পতিবার ভোরে গরু নিয়ে বাংলাদেশে ফেরার সময় ভারতের বিএসএফ সদস্যরা তাদেরকে উদ্দেশ্য করে গুলি ছোড়ে। বিএসএফের গুলিতে সনজিত কুমার, কামাল হোসেন ও মফিজুল ইসলাম মারা যায়। নিহত তিন বাংলাদেশির মধ্যে মফিজুল ইসলামের লাশ দুয়ারপাল সীমান্ত পিলারের কাছে বাংলাদেশ সীমান্তের ২০০ গজ ভেতরে নীলমারা এলাকায় পড়ে ছিল। আর সনজিত কুমার ও কামাল হোসেনের লাশ ভারতের ৮০০ গজ ভেতর পড়ে ছিল। তাদের লাশ বিএসএফ সদস্যরা ভারতে নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার বিকেলে দুয়ারপাল সীমান্তের কাছে নো-ম্যান্স ল্যান্ডে নওগাঁ ব্যাটেলিয়ন-১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম ও ভারতের ১৫৯ বিএসএফের কমান্ডার হার্ষা জসির নেতৃত্বে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ এ ঘটনার দুঃখ প্রকাশ করে নিহতদের লাশ ফেরত দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছিল বলে বিজিবি জানায়।
নওগাঁ ব্যাটালিয়ন-১৬ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল এ কে এম আরিফুল ইসলাম জানান, বিএসএফের পক্ষ থেকে গুলিতে নিহত দুই বাংলাদেশি সনজিত ও কামালের লাশ নিয়ে যাওয়ার কথা স্বীকার করা হয়। নিহত দুই বাংলাদেশির লাশ ফেরত আনার চেষ্টা চলছে।
এমকে