আন্তর্জাতিক ডেস্ক: গরু খেলে তো শাস্তি মানুষ পায়, তাহলে বাঘের বেলায় কেন শাস্তি দেয়া হবে না? ভারতের গোয়া বিধানসভায় বাঘ হত্যাবিরোধী আলোচনার সময় এমনই যুক্তি দিলেন গোয়ার সাবেক মুখ্যমন্ত্রী ও ন্যাশনালিস্ট কংগ্রেস পার্টির (এনসিপি) বিধায়ক চার্চিল আলেমাও।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মাসে গোয়ার মহাদায়ী ওয়াইল্ডলাইফ স্যাংচুয়ারিতে একটি বাঘিনী ও তার তিন শাবককে হত্যা করে স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অধিবেশন চলার সময় গোয়া বিধানসভায় বিষয়টি উত্থাপন করেন বিরোধী দলনেতা দিগম্বর কামাথ। সেই আলোচনার সময়ই এ কথা বলেন আলেমাও।
তারপরই নিজের যুক্তি তুলে তিনি বলেন, বাঘ গরু খেয়ে ফেললে তার শাস্তি কি হবে? যখন মানুষ গরু খায়, তখন তাকে তো শাস্তি দেয়া হয়। বন্যপ্রাণীর ক্ষেত্রে বাঘ গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু মানুষের কাছে গরু গুরুত্বপূর্ণ।
বাঘ হত্যার বিষয়টি নিয়ে রাজ্যের বর্তমান মুখ্যমন্ত্রী প্রমোদ সবন্ত বলেছেন, গৃহপালিত প্রাণীদের আক্রমণ করছিল বাঘেরা। সে জন্যই গ্রামবাসীরা তাদেরকে পিটিয়ে মেরেছে। বাঘের আক্রমণে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের তিন-চার দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দেয়া হবে বলেও জানান তিনি।
মোদি সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকেই গো হত্যা, গো মাংস নিয়ে যাওয়ার জন্য গণপিটুনিতে দেশে মৃত্যুর সংখ্যাটা নেহাত কম নয়। পাশাপাশি দেশজুড়ে বাঘ সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়ে কাজ করছে দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার।
শেষ সমীক্ষায় জানা গেছে, আগের তুলনায় ভারতে বাঘের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। তবে চোরা শিকারের পাশাপাশি, লোকালয়ে বাঘের অনুপ্রবেশ ও পিটিয়ে হত্যা নিয়ে শীর্ষ মহল কিছুটা উদ্বিগ্ন।