বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা দিন দিন অনিশ্চয়তার দিকেই যাচ্ছে বলে জানিয়েছেন তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. এ জে ডএম জাহিদ হোসেন।
সোমবার (১৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন তিনি।
জাহিদ হোসেন বলেন, মেডিক্যাল বোর্ডের সদস্যরা বারবার তার (খালেদা জিয়া) স্বাস্থ্য পরীক্ষা করছেন এবং তারা তাদের সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিচ্ছেন। কিন্তু খালেদা জিয়ার যে অবস্থা, তাকে বিদেশে নিয়ে আধুনিক হাসপাতালে চিকিৎসা না দিলে অবস্থার উন্নতি সম্ভব নয়।
তিনি বলেন, গত ১৩ নভেম্বর থেকে একমাসে চারবার তার বড় ধরনের রক্তক্ষরণ হয়েছে। ওষুধ দিলে রক্তক্ষরণ সাময়িক বন্ধ হলেও আবার শুরু হয়। এ অবস্থায় দ্রুত বিদেশে নিয়ে চিকিৎসা দিতে না পারলে তাকে বাঁচানো কঠিন হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১১ এপ্রিল খালেদা জিয়ার শরীরে করোনা শনাক্ত হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল দ্বিতীয়বার করোনা পরীক্ষা করা হলে সেখানেও তার রিপোর্ট পজিটিভ দেখায়। পরে ২৭ এপ্রিল তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পর ১৯ জুন তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। এরপর ১২ অক্টোবর আবারও স্বাস্থ্য পরীক্ষা করাতে হাসপাতলে আসেন খালেদা জিয়া। তখন তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। টানা ২৬ দিন পর ৭ নভেম্বর এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে গুলাশানের বাসা ফিরোজায় ফিরেন খালেদা জিয়া।
এরপর গত ১৩ নভেম্বর ফলোআপ চিকিৎসার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসনকে ফের এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তখন থেকে খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের নিবিড় পর্যবেক্ষণে সিসিইউতে রাখা হয়েছে। এরপর মেডিকেল বোর্ড চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে নেওয়ার সুপারিশ করেছিল।
বিএ/