খবর২৪ঘণ্টা.কম, ডেস্ক: বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হয়েছে। বললেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
শনিবার সকালে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
রিজভী বলেন, বিএনপির পক্ষ থেকে বার বার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করা হলেও এখনও খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা নেয়নি সরকার। আমরা বার বার বলছি বিএনপি চেয়ারপারসনের পছন্দ অনুযায়ী ইউনাইটেড হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার। কিন্তু সরকার ও কারা কর্তৃপক্ষ তার চিকিৎসার বিষয়ে কোনো কর্ণপাতই করছে না।
তিনি বলেন, উল্টো আওয়ামী লীগ প্রধান শেখ হাসিনাসহ তাদের দলীয় নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে ইয়ার্কি-ঠাট্টা করছেন। এদের নিষ্ঠুর রসিকতায় দেশবাসী বিস্মিত ও হতভম্ব। যারা হত্যা এবং লাশ নিয়ে খেলা করে তাদের কাছে মানুষের জীবনের কিইবা দাম আছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, মিথ্যা সাজানো ও জাল নথি তৈরির মাধ্যমে খালেদা জিয়াকে সাজা দিয়ে বন্দি করে বিনা চিকিৎসায় কষ্ট দেয়াটাই হচ্ছে সরকারের মুখ্য উদ্দেশ্য। এর পেছনে সরকার প্রধানের চরম প্রতিহিংসা কাজ করছে। দেশনেত্রীর প্রতি সরকারের আচরণ চরম মানবধিকার লঙ্ঘন ও আইনের লঙ্ঘন।
তিনি বলেন, গতকালও আমরা খবর পেয়েছি তার হাঁটু ও শরীরে প্রচণ্ড ব্যথাসহ নানাবিধ জটিল শারীরিক সমস্যায় তিনি আক্রান্ত। স্যাঁতসেঁতে পরিবেশে পরিত্যক্ত রুমে থাকায় এখন তিনি প্রায়ই জ্বরে ভুগছেন এবং কাঁশি ও কফ লেগেই আছে। তার চোখে যে ব্যথা হচ্ছে সেটি এখনও সারেনি। কিন্তু সরকার তাকে চিকিৎসা সেবা থেকে বঞ্চিত করছে।
রিজভী বলেন, কারা আইনে একজন বন্দির সঙ্গে প্রতিদিনই দেখা করার বিধান রয়েছে। কিন্তু প্রতিদিন দূরের কথা, দেশনেত্রীর ঘনিষ্ঠ আত্মীয় স্বজনদের যেখানে সপ্তাহে একদিন দেখা করতে দেয়া হতো সেখানে এখন ১০ দিন পর পর দেখা করার আদেশ জারি হবে বলে শোনা যাচ্ছে।
খবর২৪ঘণ্টা.কম/নজ