1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
কেন হঠাৎ করে বেড়ে গেলো করোনা সংক্রমণ? - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ১ জানয়ারী ২০২৫, ১১:০২ অপরাহ্ন

কেন হঠাৎ করে বেড়ে গেলো করোনা সংক্রমণ?

  • প্রকাশের সময় : শুক্রবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২১

কেন হঠাৎ করে করোনা সংক্রমণ এত বেড়ে গেলো? বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সংক্রমণ যখন সীমিত ছিলো তখন সবার অবারিত চলাফেরাই এর জন্য দায়ী। তাছাড়া যুক্তরাজ্য ও দক্ষিণ আফ্রিকার ধারণ দেশে ছড়িয়ে পড়ায় ভূমিকা রেখেছে। তবে ঢেউয়ের ঊর্ধ্বমুখীতা যেমন আছে তেমনই আছে নিম্নমুখী প্রবণতা। তাই সরকারের নতুন পদক্ষেপ সংক্রমণ কমাতে ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন তারা।

চারদিকে আতঙ্ক, শুনশান নীরবতা আর সতর্কতা ও সচেতনতা। এর ওপর ভর করেই গেলো বছরের জুলাই মাসের পর থেকে করোনা সংক্রমণ নিচের দিকে নামতে থাকে।

আতঙ্ক, নীরবতা, সতর্কতা আর সচেতনতা একসময় সবই উঠে যায়। সাধারণের মধ্যে একটা দৃঢ় বিশ্বাস জন্মায় করোনা হয়তো বাংলাদেশ থেকে বিদায় নিয়েছে। পর্যটন কেন্দ্রগুলোতে উপচে পড়া ভিড়; হাট-বাজার, রাস্তা-ঘাট সব জায়গায় উপেক্ষিত স্বাস্থ্যবিধি। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। যা প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। বিশেষজ্ঞরা এই অনিয়ন্ত্রিত জীবন ধারাকেই দ্বিতীয় ঢেউয়ের পেছনে অন্যতম কারণ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন। সঙ্গে যোগ হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকা ও যুক্তরাজ্যের করোনার নতুন ধরন।

বাংলাদেশ ডক্টরস ফোরামের প্রধান সমন্বয়ক ডা. নিরুপম দাশ বলছেন, প্রায় ১০ লাখের মতো মানুষ কক্সবাজারেই ছিলো। বাজার, গণ-পরিবহন প্রভৃতি জায়গায় স্বাস্থ্যবিধি মানার কোনো বালাই ছিলো না। এছাড়া আমাদের দেশে দক্ষিণ আফ্রিকার ধরণ যোগ হওয়ার জন্য সংক্রমণ হয়তো বাড়ছে।

আরও পড়ুনঃ হাঁপানির ওষুধে দ্রুত সারছে করোনাক্রান্ত বয়স্করা : নতুন গবেষণা
জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. মুশতাক বলছেন, স্বাস্থ্যবিধি শিথিল করেছি, ধর্মীয় অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান করেছি। এসব আমাদের সংক্রমণকে বহুগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে।

দিনকে দিন পরিস্থিতি খুব খারাপের দিকে যাচ্ছে। সংক্রমণ এখন পরীক্ষার বিপরীতে ২০ শতাংশের ওপরে। ২৩ শতাংশও টপকেছে বেশ কয়েকদিন। ২৮ মার্চ থেকে আট এপ্রিল কেবল এই ১১ দিনেই শনাক্ত হয়েছে ৭৪ হাজার ৩২৬ জন। এই সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছিলো ৩ লাখ ৪৯ হাজার ৬৪টি। পরীক্ষার বিপরীতে শনাক্ত হয়েছে ২১ দশমিক ২৯ শতাংশ। এমন চলতে থাকলে পরিস্থিতি সামাল দেয়া দুঃসাধ্য হয়ে যাবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।

এ বিষয়ে ডা. নিরুপম দাশ আরও বলছেন, এখন যদি কোনোভাবে এই শনাক্তের হারকে নিয়ন্ত্রণ করা না যায় তাহলে এই হার আরও বেড়ে যাবে।

সরকার পরিস্থিতি সামাল দিতে ৭ দিনের লকডাউন দিয়েছিলো। করোনা সংক্রমণ রোধে কাজ না হওয়ায় আরও আটদিনের কঠোর লকডাউন দিয়েছে। এর মাধ্যমে একটা সুফল আসবে বলে মনে করেন তারা। গেলো জানুয়ারি দিকে ৩ শতাংশ পর্যন্ত নেমে এসেছিলো সংক্রমণের হার। ৮ শতাংশের ওপরে উঠলেই বলা হয় সংক্রমণের হাই ফ্লো। এখন ২০ এর ওপরে। বোঝাই যাচ্ছে পরিস্থিতি কতটা ভয়াবহ।

জেএন

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST