ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক জীবনে স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র তথা সকল আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার থেকে কে এম ওবায়দুর রহমান আজীবন দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বিএনপির সাবেক মহাসচিব, বরেণ্য রাজনীতিবিদ কে এম ওবায়দুর রহমানের ১৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক বাণীতে বিএনপি মহাসচিব এসব কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, ‘বিএনপির সাবেক মহাসচিব, স্বাধীনতাযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, ৬০-এর দশকের সাবেক ছাত্রনেতা এবং দেশের বরেণ্য রাজনীতিবিদ কে এম ওবায়দুর রহমানের মৃত্যুবার্ষিকীতে আমি তার বিদেহী আত্মার প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানাচ্ছি। বাংলাদেশে মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান একজন গণসম্পৃক্ত জাতীয় নেতা হিসেবে সবার নিকট সমাদৃত ছিলেন। যোগ্য নেতৃত্ব দিয়ে তিনি দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করেছেন।
তিনি বলেন, ‘ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে পরবর্তীতে জাতীয় রাজনৈতিক জীবনে স্বাধিকার, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র তথা সকল আন্দোলন-সংগ্রামে সোচ্চার থেকে তিনি আজীবন দেশের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারের পক্ষে নিজেকে নিবেদিত রেখেছিলেন। মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান মনেপ্রাণে গণতন্ত্রকে ভালোবাসতেন এবং গণতন্ত্রে বহুমত সহিষ্ণুতার ঐতিহ্যকে মান্য করতেন।’
‘বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদী দর্শনে বিশ্বাসী, কর্তব্যনিষ্ঠ ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনীতিবিদ মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান তার বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক জীবনে মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে যেভাবে নিবেদিত থেকেছেন সেজন্য দেশবাসীর নিকট তিনি চির অম্লান হয়ে থাকবেন। মন্ত্রী হিসেবে দেশের উন্নয়ন ও জনকল্যাণমূলক কাজে তিনি কখনোই নিরপেক্ষ দৃষ্টিভঙ্গি বিসর্জন দেননি।’
ফখরুল আরও বলেন, ‘স্বৈরাচারের কবল থেকে দেশকে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণে মরহুম কে এম ওবায়দুর রহমান ঘনিষ্ঠ সহকর্মী হিসেবে দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বলিষ্ঠ ভূমিকা রেখেছেন। তিনি ছিলেন বহুদলীয় গণতন্ত্রের একনিষ্ঠ অনুসারী। স্বাধীনতা যুদ্ধে অন্যতম সংগঠকের ভূমিকা পালন করে তিনি জাতীয় ইতিহাসে স্থান করে নিয়েছেন।’
তিনি বলেন, ‘তার অনুসৃত পথ বর্তমান প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে। সাবেক রাষ্ট্রপতি শহীদ জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) জাতীয়তাবাদী দর্শন ও আদর্শকে বুকে লালন করে এদেশের জনপ্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের প্রত্যেকটি আন্দোলন সংগ্রামে কে এম ওবায়দুর রহমানের অবদান দল ও দেশবাসী চিরদিন শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করবে। আমি তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।’
জেএন