1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
কুড়িগ্রামে ত্রাণ নিয়ে সমন্বয়হীনতা - খবর ২৪ ঘণ্টা
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:১৪ পূর্বাহ্ন

কুড়িগ্রামে ত্রাণ নিয়ে সমন্বয়হীনতা

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ৫ জুলা, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: কুড়িগ্রামে ত্রাণ নিয়ে সমন্বয়হীনতা লক্ষ্য করা গেছে। এছাড়াও অপ্রতুল ত্রাণের কারণে প্রত্যন্ত এলাকায় হাহাকার অবস্থা বিরাজ করছে। উপজেলাগুলো থেকে ইউনিয়ন পর্যায়ে বরাদ্দ প্রদানের কথা বলা হলেও অনেক জনপ্রতিনিধি বরাদ্দ পাননি বলে জানিয়েছেন। বন্যার অষ্টম দিন পেরিয়ে গেলেও অনেক জায়গায় পৌঁছায়নি বানভাসিদের জন্য পাঠানো কাঙ্ক্ষিত ত্রাণ সামগ্রী।

জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম জানিয়েছেন, ‘বন্যার শুরুতেই ২০৩ মেট্রিকটন চাল ও ৩৬ লাখ ৬৭ হাজার টাকা উপজেলাগুলোতে বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এছাড়াও ২ কোটি টাকা ও ২ হাজার টন চালের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।

ইতোধ্যে আবারও ২ লাখ টাকা ও ২ হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার পেয়েছি। আমরা সবার সঙ্গে সমন্বয় করেই ক্ষতিগ্রস্ত ইউনিয়নগুলোতে বরাদ্দ পাঠাচ্ছি। যদি ব্যত্যয় ঘটে তাহলে সেটিও আমরা সমন্বয় করে ঠিক করব।’

এদিকে কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হলেও দুর্ভোগ কমেনি। ব্রহ্মপুত্র নদের পানি কিছুটা কমলেও ধরলা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এখনও বিপৎসীমার উপরে পানি অবস্থান করায় নিম্নাঞ্চল তলিয়ে আছে। টানা ৮ দিন ধরে বন্যার পানি অবস্থান করায় সংকটে রয়েছেন প্রায় ৭০ হাজার মানুষ।

শনিবার জেলার ৯টি উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় নানান অসঙ্গতি। বন্যায় আক্রান্তের তুলনায় অনেক ইউনিয়নে কম বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। এতে ভীষণ চাপে রয়েছেন সেসব ইউনিয়নের চেয়ারম্যানরা।

নাগেশ্বরীর নদীবেষ্টিত দ্বীপ ইউনিয়ন বল্লভের খাসের চেয়ারম্যান আকমল হোসেন জানান, আমরা এখনও বন্যার্তদের তালিকা চূড়ান্ত করিনি। উপজেলা থেকে এ ইউনিয়নে ত্রাণের কোনো বরাদ্দ আসেনি বলে তিনি দাবি করেন।

কিন্তু নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর আহমেদ মাছুম জানান, বল্লভের খাসসহ বন্যায় আক্রান্ত প্রতিটি ইউনিয়নে ৬০ মেট্রিক টন চাল বরাদ্দ দিয়েছি। আমি নিজেই ওই ইউনিয়নে দুদিন আগেই ৫০টি পরিবারে ত্রাণ দিয়েছি।

এদিকে একই অভিযোগ চিলমারীর অস্টমীর চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু তালেবের। তিনি জানান, আমার ইউনিয়নে ৩ হাজার পানিবন্দি পরিবারের জন্য এখনো কোনো ত্রাণ বরাদ্দ পাইনি।

এ ব্যাপারে ব্যস্ততার কারণে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এ ডব্লিউ এম রায়হান শাহ’র বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

এদিকে উলিপুর উপজেলার বজরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম আমিন জানান, আমার ইউনিয়নে ২ হাজার পরিবার পানিবন্দি। আমি মাত্র ২শ প্যাকেট ত্রাণ পেয়েছি। যা শনিবার বজরা কলেজ মাঠে বিতরণ করছি।

তিনি জানান, ৯টি ওয়ার্ডে বিভাজন করতে গিয়ে কোনো কোনো ওয়ার্ডে মাত্র ৮ থেকে ১০টি পরিবারে ত্রাণ দিতে পেরেছি। এখন কলেজ মাঠে শত শত পরিবার ত্রাণের জন্য চাপ দিচ্ছে।

একই উপজেলার বেগমগঞ্জ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বেলাল হোসেন জানান, আমার ইউনিয়নে ৩ হাজার পরিবার পানিবন্দি। আমি বরাদ্দ পেয়েছি মাত্র ৩শ প্যাকেট।

এ ব্যাপারে উলিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল কাদের জানান, সবার সিদ্ধান্ত অনুসারে রেশিও করে ইউনিয়নগুলোতে ত্রাণ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। তার উপজেলায় ইউনিয়নগুলোতে কত বরাদ্দ দেয়া হয়েছে সেটা জানেন না তিনি। এ ব্যাপারে ত্রাণ বিভাগে খোঁজ নিতে বলেন।

অপরদিকে রাজারহাট উপজেলার সবচেয়ে পানিবন্দি ও ভাঙন কবলিত বিদ্যানন্দ ইউনিয়নে ৭শ পরিবারের মধ্যে ৪শ পরিবার ত্রাণ পেয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন ইউপি চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম।

কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার যাত্রাপুর ইউনিয়নের পানিবন্দি ২ হাজার ১শ পরিবারের মধ্যে মাত্র ৪শ পরিবারে ত্রাণ দেয়া সম্ভব হয়েছে। এখনো ১৭শ পরিবার ত্রাণের আওতার বাইরে রয়েছে।

কুড়িগ্রামের চর রাজিবপুর উপজেলার বন্যা কবলিত ৩টি ইউনিয়নে পানিবন্দি ১৭ রয়েছে হাজার ২৫০টি পরিবার। ত্রাণ বরাদ্দ এসেছে মাত্র ২ হাজার ৯শ পরিবারের জন্য।

চর রাজিবপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার নবিরুল ইসলাম জানান, কোভিড-১৯ শুরু হওয়ার পর থেকে আমরা মানুষকে সহযোগিতা করে আসছি। চলমান বন্যায় রাজিবপুর ইউনিয়নে ৫ হাজার পরিবারের মধ্যে ১ হাজার ৫০টি পরিবার, কোদালকাটি ইউনিয়নে ৬ হাজার ২৫০টি পরিবারের মধ্যে ৯শ পরিবার এবং মোহনগঞ্জ ইউনিয়নে ৬ হাজার পানিবন্দি পরিবারের মধ্যে সাড়ে ৯শ পরিবারে ত্রাণ বিতরণ করা হয়েছে। আমরা আরো ৫০ মেট্রিকটন চালের চাহিদা দিয়েছি।

খবর২৪ঘন্টা /এএইচআর

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST