আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বিশ্বব্যাপী তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। সোমবার পর্যন্ত করোনায় নিহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬৫১৫ জনে। এছাড়া আক্রান্তের সংখ্যা ৩ লাখ ৭৮ হাজার ৯৬৫ জন। তবে আশার কথা হলো এখন পর্যন্ত করোনায় সুস্থ হয়ে বাড়ি ফেরা মানুষের সংখ্যা লাখ ছাড়িয়েছে। এখন পর্যন্ত সুস্থতার সংখ্যা এক লাখ ২ হাজার ৬৯ জন।
চীনের পর মহামারি শুরু হয়েছে ইতালি-স্পেনে। ইতালিতে এখন পর্যন্ত নিহত হয়েছেন ৬ হাজার ৭৭ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৬৩ হাজার ৯২৭ জন। এছাড়া স্পেনে আক্রান্ত ৩৫ হাজার ১৩৬ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ২৩১১ জনের। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে দ্রুত গতিতে বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। এখন পর্যন্ত দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ৪৩ হাজার ৭৩৪ এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৫৩ জনের।
চীনের উহান থেকে বিস্তার শুরু করে গত আড়াই মাসে বিশ্বের ১৮০টিরও বেশি দেশ ও অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯)। চীনে করোনার প্রভাব কিছুটা কমলেও বিশ্বের অন্য কয়েকটি দেশে মহামারি রূপ নিয়েছে।
এই ভাইরাসে শুধুমাত্র চীনের মূল ভূখণ্ডেই আক্রান্ত হয়েছেন ৮১ হাজার ৯৩ জন। আর মারা গেছেন ৩ হাজার ২৭০ জন। তবে এখন চীনে এই হার উল্লেখযোগ্য হারে কমে এসেছে। গত পাঁচদিনে দেশটিতে করোনাভাইরাসে নতুন করে কেউই আক্রান্ত হয়নি। দেশটি জানিয়েছে, রবিবার ৩৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে তবে তাদের সবাই অন্য দেশ থেকে চীনে প্রবেশ করেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশটিতে নিহত হয়েছেন ৯ জন। চীনের বাইরে ইতালিতে ভয়াবহ তাণ্ডব চালাচ্ছে করোনাভাইরাস। সেখানে এখন পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ৫৯ হাজার ১৩৮ জন এবং মৃত্যু হয়েছে ৫৪৭৬ জনের।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের হুবেই প্রদেশের উহান শহরে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। নিউমোনিয়ার মত লক্ষণ নিয়ে নতুন এ রোগ ছড়াতে দেখে চীনা কর্তৃপক্ষ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে সতর্ক করে। এরপর ১১ জানুয়ারি প্রথম একজনের মৃত্যু হয়। ঠিক কীভাবে করোনাভাইরাস সংক্রমণ শুরু হয়েছিল- সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত নন বিশেষজ্ঞরা। তবে ধারণা করা হচ্ছে, উহানের একটি সি ফুড মার্কেটে কোনো প্রাণী থেকে এ ভাইরাস প্রথম মানুষের দেহে আসে। তারপর মানুষ থেকে ছড়াতে থাকে মানুষে।
করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। এর লক্ষণ শুরু হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। সপ্তাহখানেকের মধ্যে দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্ট। উপসর্গগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা ভালো হলে এ রোগ কিছুদিন পর এমনিতেই সেরে যেতে পারে। তবে ডায়াবেটিস, কিডনি, হৃদযন্ত্র বা ফুসফুসের পুরোনো রোগীদের ক্ষেত্রে ডেকে আনতে পারে মৃত্যু।
খবর২৪ঘন্টা/নই