খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্কঃ ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবিলায় ১০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুন) জাতীয় সংসদে এই ফান্ডের পাশাপাশি করোনা মোকাবিলায় সরকারের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা এবং করোনার প্রাদুর্ভাব রোধে সরকারের উদ্যোগগুলো তুলে ধরবেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।
এদিন আগামী এক বছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট তুলে ধরা হবে। যা গত বছরের বাজেটের তুলনায় ৪৪ হাজার কোটি টাকা বেশি। এর আগের বছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের জন্য ৫ লাখ ২৩ হাজার ১৯০ কোটি টাকা প্রস্তাব করা হয়েছিলো।
অর্থনীতিবিদের সংগঠন বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির ভাষায়, কোভিড-১৯ মোকাবিলায় লকডাউনের প্রথম ৬৬ দিনে (২৬ মার্চ থেকে ৩১ মে) ৩ কোটি ৬০ লাখ মানুষ কর্মসংস্থান হারিয়েছেন। সংগঠনের সভাপতি ড. আবুল বারকাত বলেন, এই সময়ে দেশে মোট ৬ কোটি ১ লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ছিলো। তাতে দেশের জিডিপির ক্ষতি হয়েছে ২ লাখ ৯৮ হাজার ৭৪২ কোটি টাকা।
পরিসংখ্যান তুলে ধরে বারকাত বলেন, লকডাউনে সেবা খাতে ১ লাখ ৬৯ হাজার ৯৩৬ কোটি, শিল্প খাতের ১ লাখ ২ হাজার ০৪১ কোটি এবং কৃষি খাতে ২৬ হাজার ৭৬৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে। এই সময়ে প্রত্যাশিত জিডিপির পরিমাণ ছিলো ৪ লাখ ৫৮ হাজার ২৬ কোটি টাকা। যা মোট জিডিপির ৩৫ শতাংশ। আর লস হয়েছে ৬৫ শতাংশ।
চাকরি হারানোর মধ্যে সেবা খাতে চাকরি হারিয়েছে ১ কোটি ৫৩ লাখ, শিল্প খাতের ৯৩ লাখ এবং কৃষি খাতের ১ কোটি ১৪ লাখ মানুষ। অন্যদিকে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও মধ্যবিত্তদের মধ্যে থেকে ৫ কোটি ৯৫ লাখ মানুষের আয় কমে দরিদ্র হয়ে গেছে।
এই অবস্থা থেকে উত্তোলনে নিম্ন আয়ের ৪৭ শতাংশ মানুষের জন্য এককালীন মানুষের জন্য ২০ হাজার টাকা করে অনুদান দিতে হবে।
২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেট হবে করোনা মোকাবিলার উল্লেখ করে বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতির সভাপতি ড. আবুল বারকাত বলেন, গ্রাম পর্যায়সহ দেশের ৮২ ভাগ মানুষের কাছে করোনার সেবা পৌঁছায়নি। দায়সারা কাজ হয়েছে। এই মুহূর্তে প্রয়োজন শক্তিশালী স্বাস্থ্য সেবা। কিন্তু আমাদের স্বাস্থ্য সেবা অত্যন্ত নাজুক। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তোলনে স্বাস্থ্য খাতের জন্য আগামী বাজেটে ৪০ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দের দাবি জানিয়েছি।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত ৭৪ হাজার ৮৫৬ জন করোনায় আক্রান্ত হয়েছে। মৃত্যুবরণ করেছেন ১ হাজার ১২ জন। খবর২৪ঘন্টা /এবি