পঞ্চগড়ের বোদায় করতোয়া নদীতে নৌকাডুবির ঘটনায় নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৯ জনে দাঁড়াল।
সোমবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পঞ্চগড় জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দীপঙ্কর রায় এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এর আগে একই দিন দুপুর পর্যন্ত পঞ্চগড় ও দিনাজপুর জেলার করতোয়া এবং আত্রাই নদীর বিভিন্ন স্থান থেকে এসব মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মৃতরা হলেন- দীপঙ্কর (৩), পিয়ন্ত (২.৫), রূপালী ওরফে খুকি রানী (৩৫), প্রমিলা রানী (৫৫), ধনবালা (৬০), সুনিতা রানী (৬০), ফাল্গুনী (৪৫), প্রমিলা দেবী (৭০), জ্যোতিশ চন্দ্র (৫৫), শোভা রানী (২৭), লক্ষী রানী (২৫), অমল চন্দ্র (৩৫), শ্যামলী রানী (১৪), তারা রানী (২৫), সনেকা রানী (৬০), সফলতা রানী (৪০), হাশেম আলী (৭০), বিলাস চন্দ্র (৪৫), তনুশ্রী (৫), শ্রেয়শী, প্রিয়ন্তী (৮), ব্রজেন্দ্রনাথ (৫৫), শ্যামলী রানী ওরফে শিমুলি (৩৫), উষশী (৮) ও সনেকা রানী (৬০)। তবে বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বোদা উপজেলার মাড়েয়া ইউনিয়ন পরিষদে স্থাপিত জরুরি তথ্য ও সহায়তা কেন্দ্রের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা জানান, সোমবার দুপুরে ১১ শিশু, সাত পুরুষ ও ২১ নারীসহ ৩৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সাতজনের মরদেহ ভেসে গিয়েছিল দিনাজপুরের আত্রাই নদীতে। পরে সেখান থেকে মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়েছে।
পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক সৈয়দ মাহাবুবুল আলম বলেন, সোমবার সকালে দ্বিতীয় দিনের মতো নিখোঁজ ব্যক্তিদের উদ্ধারে কার্যক্রম শুরু হয়েছে। রংপুর, কুড়িগ্রাম ও রাজশাহী থেকে ডুবুরিদল এসেছে। এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছে পঞ্চগড় ফায়ার সার্ভিস।
উল্লেখ্য, রোববার বিকেলে মহালয়া উপলক্ষে পাঁচপীর, বোদা, মাড়েয়া, ব্যাঙহারি এসব এলাকার সনাতন ধর্মাবলম্বীরা নৌকায় করে বদেশ্বরী মন্দিরে যাচ্ছিলেন। এ সময় নৌকায় অতিরিক্ত যাত্রী ছিল। এ কারণে মাঝ নদীতে পৌঁছানোর পর যাত্রীর চাপে নৌকা ডুবে যায়। এ সময় কিছু মানুষ সাঁতরে তীরে উঠতে পারলেও বেশির ভাগ যাত্রীই এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।
বিএ/