খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: ভারতের প্রত্যাঘাতের পর প্রতিশোধ নেওয়ার চেষ্টা করেছিল পাকিস্তান। কিন্তু ভারতীয় বায়ুসেনার তত্পরতায় পালিয়ে যায় পাক বিমান। আন্তর্জাতিক মহলের চাপের মুখে নয়াদিল্লির কাছে আলোচনার বার্তা দেন পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু সন্ত্রাসের কোনও কথাই তোলেননি। বিশ্বের সামনে আবারও পুরনো নাটক শুরু করেছে পাকিস্তান। ইসলামাবাদের এমন নাটকের সামনে আর নরম হচ্ছে না নয়াদিল্লি।
সকাল থেকে প্রতিরক্ষামন্ত্রী নির্মলা সীতারমন, নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল ও গোয়েন্দা কর্তাদের সঙ্গে দফায় দফায় বৈঠকে বসেন নরেন্দ্র মোদী। সন্ধেয় বসেন তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে।
সূত্রের খবর, তিন বাহিনীর প্রধানের সঙ্গে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন মোদী। সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন, চাপের মুখে দমবে না ভারত। পাকিস্তানকে তাদের ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে। ভবিষ্যতের পদক্ষেপের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেবে বাহিনীই।
ভারতের এয়ার স্ট্রাইকের যন্ত্রণা সহ্য না করতে পেরে সকালেই এদেশে ঢুকে পড়ে পাক বিমান। একটিকে গুলি করে নামানো হয়। বাকিরা ভারতীয় বায়ুসেনার তাড়া খেয়ে তারা পালায়। এর মধ্যে ভেঙে পড়ে বায়ুসেনার একটি বিমান।
পাকিস্তান দাবি করে, ভারতীয় বায়ুসেনার দুই চালককে আটক করেছে তারা। পরে তারা জানায়, একজন চালক আটক। উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের ছবি ও ভিডিয়ো দেখানো হয় পাক সংবাদমাধ্যমে। বিদেশমন্ত্রক বিবৃতি দিয়ে জানায়, আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ও জেনেভা সম্মেলনের নীতি লঙ্ঘন করে ভারতীয় বায়ু সেনা আধিকারিকের ঘৃণ্য ছবি প্রদর্শন করছে পাকিস্তান।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন