রাজনৈতিক অস্থিরতা নিরসনে পাকিস্তানের সুপ্রিম কোর্ট আজ (মঙ্গলবার) বিবাদমান প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের ভাগ্য নির্ধারণ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
সম্প্রতি ইমরান খানকে পদ থেকে অপসারণের চেষ্টা করা হয়েছে। কিন্তু রোববার (৩ এপ্রিল) প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করে দেওয়া হয় এবং সংসদ ভেঙে দেওয়া হয়।
ইমরান খান দাবি করেন, অনাস্থা ভোটটি তাকে সরানোর জন্য মার্কিন নেতৃত্বাধীন ষড়যন্ত্রের অংশ। তবে যুক্তরাষ্ট্র তা অস্বীকার করেছে।
বিক্ষুব্ধ বিরোধী রাজনীতিকরা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব নাকচ করার পদক্ষেপটি সাংবিধানিক কিনা, তা নিয়ে রায় দেওয়ার জন্য সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করেছেন।
আদালত প্রাথমিকভাবে সোমবার বিকেলের দিকে সিদ্ধান্ত দেবে বলে আশা করা হলেও তা মঙ্গলবার পর্যন্ত গড়ায়।
ইমরান খান পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর সহায়তায় ক্ষমতায় এসেছেন বলে ব্যাপকভাবে ধারণা করা হয়। কিন্তু পর্যবেক্ষকদের মতে, তারা পরে সরে গেছে।
এরপর ইমরান খানের জোটের শরিক দলকে তার বিরুদ্ধে যেতে রাজি করানোর পর সংসদে অনাস্থা ভোট দাবি করার সুযোগটি কাজে লাগায় রাজনৈতিক প্রতিপক্ষরা।
রোববার (৩ এপ্রিল) সবাইকে চমকে দিয়ে ইমরান খানের বিরুদ্ধে বিরোধীদলগুলোর আনা অনাস্থা ভোটের প্রস্তাব খারিজ করে দেন দেশটির জাতীয় পরিষদের ডেপুটি স্পিকার।
এরপরই পার্লামেন্ট ভেঙে দিতে প্রেসিডেন্টকে পরামর্শ দেন ইমরান। সে অনুযায়ী পার্লামেন্ট বিলুপ্ত ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট আরিফ আলভি। এই প্রক্রিয়াকে অসাংবিধানিক আখ্যা দিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিরোধীদলগুলো।
বিএ/