বিশ্ব ইজতেমাকে সামনে রেখেই প্রতি বছর ৫দিন ব্যাপী জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হয়। মহামারি করোনার কারণে প্রতিবছরের ন্যয় এবারও রাজধানী টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে শুক্রবার (১৮ ডিসেম্বর) থেকে অনুষ্ঠিত হবে জোড় ইজতেমা। তবে এবার (শুক্র-শনি) দুই দিনেই সম্পন্ন হবে জোড় ইজতেমা। ইতিমধ্যে নেজামে শুরার অনুসারীরা এ জোড় ইজতেমার প্রস্তুতিও প্রায় সম্পন্ন করেছেন।
জোড় ইজতেমা উপলক্ষে বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) থেকেই বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে আসতে শুরু করেছেন মুসল্লিরা। আগামী শনিবার (১৯ ডিসেম্বর) মোনাজাতের মধ্যমে জোড় ইজতেমা সমাপ্তি ঘটবে।
মহামারি করোনার কারণে বিশ্বব্যাপী তাবলিগের কার্যক্রম আগের ন্যয় চালু নেই। তবে সীমিত পরিসরে অঞ্চলভিত্তিক তাবলিগের এ দাওয়াতি কার্যক্রম চালু রয়েছে। যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনেই তাবলিগের সাথীরা তাদের চিল্লার কার্যক্রম অব্যাহত রেখেছেন।
জানাগেছে, বিশ্ব ইজতেমা ময়দানের উত্তর পাশে (মুন্নু কটন টেক্সটাইলস মিলসের পাশ) টিনসেডে এ বছর জোড় ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এবারের জোড় ইজতেমায় চার জেলার মুসল্লিরা অংশগ্রহণ করবেন। ঢাকা জেলার ২ হাজার ৫০০, গাজীপুর জেলার ৭০০, টাঙ্গাইল জেলার ৪০০ ও মানিকগঞ্জ জেলার ৪০০ মুসল্লিসহ সর্বমোট ৪ হাজার তাবলিগের তিন চিল্লার সাথীরা অংশগ্রহণ করতে পারবেন।
ইজতেমা মাঠের নেজামে শুরার সাথীরা জানান যে, তিন চিল্লার সাথীদের নিয়ে তারা ইজতেমা ময়দানে পরামর্শ সভা আয়োজনের জন্য শুক্রবার সকাল ১০টা থেকে শনিবার সকাল ১০টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টা সময় পেয়েছেন। সে হিসেবে শনিবার সকাল ১০টায় শেষ হবে সংক্ষিপ্ত এ জোড় ইজতেমা।
উল্লখ্য, ২০২০ সালের বিশ্ব ইজতেমায় পরবর্তী বিশ্ব ইজতেমার তারিখসহ জোড় ইজতেমার তারিখ ঘোষণা করা হয়েছিল। মহামারি করোনার কারণে এ বছর জোড় ইজতেমার নির্ধারিত সময় গত ২৭ নভেম্বর থেকে ১ ডিসেম্বর ২০২০পর্যন্ত তা অনুষ্ঠিত হয়নি। বিশ্ব ইজতেমা ২০২১ ও জোড় ইজতেমার এ তারিখ ঘোষণায় সে সময় মাশওয়ারায় আলমি শুরার সদস্য ছাড়াও কাকরাইল ও রায়বেন্ডের মুরব্বিদের পাশাপাশি ভারতের শীর্ষ ওলামায়ে কেরাম ও বিভিন্ন দেশের মারকাজের দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন।
জেএন