বাগমারা প্রতিনিধি: ধানের ভাল মূল্য পাওয়ায় লাভের মুখ দেখায় কৃষক খুশিতে আবারো আমন চাষে নেমে পড়েছে রাজশাহীর বাগমারার কৃষকরা। এবার ধানের এই বাড়তি মূল্য পাওযায় উৎপাদন খরচ মিটিয়ে কিছুটা লাভের মুখ দেখতে পায় তারা। এর আগে কৃষকরা ধানের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে মুলধন হারিয়ে দিশাহারা হয়ে পড়েছিলেন। তবে এবার ধানের বাড়তি দাম থাকায় কৃষককে আর লোকসান গুনতে হয়নি। কৃষকরা জানান, কৃষি উৎপাদনের প্রধান উপকরণ সার, ডিজেল ও কীটনাশকের দাম বাড়তি থাকলেও ধানের ভাল দাম পেয়ে তারা সে খরচ পুষিয়ে ওঠতে পেরেছেন। সম্প্রতি দু’ দফায় ইউরিয়া সার ও চার দফায় ডিজেলের দাম বাড়লেও ধানরে বাড়তি দাম পেয়ে কৃষক তা পুষিয়ে নিতে পেরেছে। উপজেলা কৃষি দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, এ বছর এই উপজেলায় ১৭ হাজার ৭শ হেক্টর জমিতে আমন চাষের লক্ষমাত্রা নির্বারন করা হয়েছে। যা গত বছরের তুলনায় ৫শ হেক্টর বেশি। তবে কৃষি বিভাগের মতে, গত বছরের তুলনায় আমন চাষের লক্ষমাত্রা বেশি নির্ধারন করা হলেও সম্প্রতি ধানের দর বেশি হওয়ায় এই লক্ষমাত্রা ছড়িয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। আগে ধানের দর ব্যাপক হারে পড়ে যাওয়ায় কুষকরা তাদের ধানের জমি ব্যাপক হারে পুকুরর খননের জন্য লীজ দেওয়া শুরু করে। তবে এখন কুষকের এই প্রবনতা লক্ষ করা যাচ্ছে না। তারা পুকুর খনন থেকে সরে এসে এখন ধান চাষের প্রতি আগ্রহী হয়ে ওঠেছে। জানা যায়, এই এলাকার লোক কৃষির উপর নির্ভরশীল। প্রতি বছরের ন্যায় কৃষকরা এবারেও বুক ভর আশা নিয়ে আমন চাষে নেমে পড়েছে। তাদের প্রত্যাশা সররকার ধানের এই মূল্য ধরে রাথলে কৃষকরা ধান উৎপাদনে আরো আগ্রহী হয়ে ওঠবেন। উপজেলার মাড়িয়া গ্রামের কৃষক লুৎফর রহমান জানান,চার যুগ ধরে তিনি কৃষি কাজ করে আসছেন। কিন্তু এ বছর বোরো চাষ করে তিনি লাভের মুখ দেখতে পয়েছেন। তাই গত বছরের তুলনায় এবার তিনি বেশি পরিমান জমিতে আেমন চাষ শুরু করেছেন বলে জানান। অবশিষ্ট জমিতে শীতকালীন সবজি চাষ করবেন বলে জানান। তিনি জানান, পেঁয়াজ, আলু, ধান, পাট, সব^জির দাম এখন অনেকটা ভাল। তার মতে সরকার কৃষি পন্যের এই মূল্য ও বাজার ধরে রাখতে পারলে সার্বিক ভাবে কৃষকদের উন্নয়ন ঘটবে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাজিবুর রহমান কৃষকদের ধানের ন্যায্য মূল্য পাওয়া প্রসঙ্গে বলেন, এই সরকার কুষি বান্ধব সরকার। শুধু ধান নয়। আলু, ভুট্রা পেয়াজ সহ বিভিন্ন তরিতরকারি দাম এখন সন্তোষজনক। বাজারে এসব পন্যের যে মূল্য তাতে কৃষকের কোনভাবে লোকসানে পড়তে হবে না।
খবর২৪ঘন্টা/নই