1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
আজান শুনে সোনার মলাটওয়ালা কোরানটি নেয়নি চোরেরা - খবর ২৪ ঘণ্টা
বৃহস্পতিবার, ২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:৪২ অপরাহ্ন

আজান শুনে সোনার মলাটওয়ালা কোরানটি নেয়নি চোরেরা

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১১ সেপটেম্বর, ২০১৮

খবর ২৪ ঘণ্টা: 

ব্রিটিশ ভারতের করদ রাজ্য হায়দরাবাদের নিজামের যাদুঘর থেকে চুরি যাওয়া মূল্যবান সামগ্রীগুলো উদ্ধার করা হয়েছে মুম্বাইয়ের এক বিলাসবহুল হোটেল থেকে। গ্রেফতার করা হয়েছে দুজন লোককে।চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের মধ্যে ছিল করদ রাজ্যের শাসক নিজামের সোনার টিফিন বাক্স। চার কেজি সোনা দিয়ে তৈরি তিন-স্তরের টিফিন বাক্সটিতে হীরা এবং চুনি ও পান্নার মতো মূল্যবান পাথর বসানো – যার মূল্য কয়েক কোটি রুপি । এ ছাড়াও ছিল চুনি-পান্না বসানো একটি সোনার কাপ, বাটি, ট্রে ও চামচ।এসব সামগ্রীর সবগুলোই পাওয়া গেছে ধরা পড়া লোকদুটির কাছে।ফলে হলিউড-স্টাইলের এই চুরি রহস্যের সমাধান হবার পর এখন পুলিশের মুখ থেকে বেরিয়ে আসছে মজার মজার সব তথ্য।যেমন, পুলিশ বলছে হায়দরাবাদের নিজাম নাকি কখনোই সোনার টিফিন বাক্সটি ব্যবহার করেন নি। কিন্তু চোরদের একজন গত কয়েকদিনে খাওয়া-দাওয়ার জন্য প্রতিবারই এই বাক্সটি ব্যবহার করেছে।গত ২রা সেপ্টেম্বর রাতে ওই দু’জন হায়দরাবাদের পুরানি হাভেলির একটি ঘুলঘুলির লোহার গরাদ কেটে ওই জাদুঘরে প্রবেশ করে ।”তারা ঠিক যখন সোনার প্রচ্ছদবিশিষ্ট একটি মূল্যবান কোরান শরিফ নিয়ে যাবার জন্য হাত বাড়ায় – ঠিক তখনি কোন একটি মসজিদ থেকে ফজরের আজান শুরু হয়। এতে তারা ভয় পেয়ে যায় এবং কোরান শরিফটি চুরি করা থেকে বিরত হয়” – বলছিলেন হায়দরাবাদের পুলিশ কমিশনার আনজানি কুমার।

His Exalted Highness The Nizam of Hyderabad, Nazim Asaf Jah Sir Usman Ali Khan Bahadurছবির কপিরাইটHULTON ARCHIVE
Image captionহায়দরাবাদের নিজাম

চুরি যাওয়া জিনিসগুলোতে যে পরিমাণ সোনা আছে তার দামই এক কোটি ভারতীয় রুপির সমান, বলছে পুলিশ। আর দুর্লভ পুরোনো সামগ্রী বা ‘এ্যান্টিক’ হিসেবে এগুলোর মূল্য তারও অনেকগুণ বেশি ।”তাই ধরুন দুবাইয়ের বাজারে এগুলোর দাম ৩০-৪০ কোটি রুপিও হতে পারে” – বলছিলেন পুলিশ প্রধান।এই চোরেরা এতই বুদ্ধিমান ছিল যে জাদুঘরে ৩২টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো থাকলেও তাতে তাদের প্রায় কোন ছবিই ধরা পড়েনি। কারণ, তারা মাফলার দিয়ে মুখ ঢেকে এসেছিল এবং ক্যামেরাগুলোর মুখ উল্টো দিকে ঘুরিয়ে দিয়েছিল।একটি ক্যামেরায় তাদের বাইকে চেপে চলে যেতে দেখা যায়। কিন্তু এতে তাদের চেনার মতো স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল না।অনেক চেষ্টা করেও পুলিশ তাদের হদিস পায় নি।

ভারত হায়দরাবাদ নিজামছবির কপিরাইটGETTY IMAGES
Image captionহায়দরাবাদের নিজামের প্রাসাদের তোরণ

লোক দুটি এর পর মুম্বাইয়ে পালিয়ে যায় এবং একটি পাঁচতারা হোটেলে ওঠে। সেখানে কয়েকদিন তারা বিলাসবহুল জীবন যাপন করে । কিন্তু মূল্যবান জিনিসগুলোর কোন ক্রেতা না পেয়ে তারা শেষ পর্যন্ত ফিরে আসে।হায়দরাবাদে ফিরেআসার পরই তারা পুলিশের হাতে ধরা পড়ে।অভিযুক্ত দু জনের একজনের নাম গাউস, তার বয়েস ২৫ এবং সে পেশায় একজন রাজমিস্ত্রী। তার বিরুদ্ধে ডাকাতি সহ ২৬টি মামলার হুলিয়া রয়েছে।তার সঙ্গীর বয়েস অপেক্ষাকৃত কম, কিন্তু ওই ঘটনার সে-ই মূল পরিকল্পনাকারী।জানা গেছে, চুরির আগে তারা ৫-৬ মাস ধরে পরিকল্পনা এবং রেকি বা পর্যবেক্ষণ চালিয়েছে। সূত্র: বিবিসি বাংলা

খবর ২৪ ঘণ্টা/এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST