নাটোর প্রতিনিধি: বিনা পাস পোর্টে ভারত হতে বাংলাদেশে আসার অপরাধে জতেনদর দাস (২৫) নামের এক ভারতীয় নাগরিককে এক বছর সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহষ্পতিবার দুপুরে নাটোরের বিচারিক হাকিম মেহেদী হাসান এই দন্ডাদেশ দেন। তিনি ভারতের ভাগলপুর জেলার লদিপুর থানার উস্ত গ্রামের সিতারাম দাসের ছেলে।
দন্ডাদেশ এক বছর হলেও তিনি এ মামলায় দেড় বছরেরও বেশি সময় ধরে জেল হাজতে আটক আছেন। আইনি জটিলতার কারণে তিনি কারাগার থেকে বের হয়ে দেশে ফিরে যেতে পারছেন না।
বিচারিক আদালতের সরকারি কৌঁসুলি রফিকুল ইসলাম জানান,২০১৭ সালের ১৮ নভেম্বর বাগাতিপাড়া থানার পুলিশ সেখানকার ছাতিয়ানতলা বাজার থেকে জতেনদর দাসকে আটক করে। ওই থানার উপ পরিদর্শক রোস্তম আলী ২৩ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে থানায় ১৯৫২ সালের বিসিই অ্যাক্টের ৪ ধারায় মামলা করেন। মামলায় তাঁকে ওই দিনই নাটোর কারাগারে পাঠানো হয়। তদন্তকারি কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক ময়নুল হক ৩০ নভেম্বর তাঁর বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালত সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বৃহষ্পতিবার দুপুরে রায় ঘোষণা করেন। রায়ে তাঁকে এক বছরের সশ্রম কারাদন্ডাদেশ দেন। দন্ডাদেশ দেওয়ার পর তাঁকে জেলা কারাগারে পাঠানো হয়।
সরকারি কৌঁসুলি আরও জানান,রায়ে দন্ডাদেশে উল্লেখিত কারাবাস থেকে হাজতবাস বাদ যাবে। এ হিসাবে জতেনদর দাস নির্ধারিত সাজার চেয়ে আরও প্রায় সাত মাস বেশি কারাবাস ভোগ করেছেন। তাঁকে আদালত এ মুহুর্তে মুক্তিও দিতে পারেন। কিন্তু কারাগার থেকে বের হলে পুলিশ আবারও তাঁকে গ্রেপ্তার করতে বাধ্য হবেন। কারণ তাঁর পক্ষে কোনো জামিনদার বা তদ্বিরকারক নাই। এ ব্যাপারে তিনি ভারতীয় হাইকমিশন ও মানবাধিকার কর্মীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। তা না হলে বিনাদোষে জতেনদর দাসকে হাজতেই দিন কাটাতে হবে।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন