নিজস্ব প্রতিবেদক: ১৬ মাস আগে রাজশাহীর গোদাগাড়ীর রিশিকুল ইউনিয়নের চার নারীকে সরকারি সহায়তার জন্য ভিজিএফ’র কার্ড করে দেওয়া হয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে। কিন্তু ঐ চার নারী জানতেন না তাঁদের নামে ভিজিএফ এর কার্ড আছে। যার বিপরীতে তাঁরা প্রত্যেকে মাসে ৩০ কেজি করে চাল পাওয়ার কথা। পরবর্তীতে তারা এবং রিশিকুল ইউপি চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু জানতে পারলে ঐ চারজন নারীকে সমুদ্বয় চাল প্রদান করেন। এ বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার নাজমুল হোসেন বলেন, এই ধরনের একটি অভিযোগ পাওয়ার পরেই বিষয়টি নিয়ে চেয়ারম্যানের সাথে সমঝোতা হয়। কার্ডধারী চার নারী হলেন ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ভানপুর গ্রামের জয়েন উদ্দিনের মেয়ে জাহানারা (কার্ড নম্বর-১৩৯), আনেস আলীর মেয়ে সামেনা বেগম (কার্ড
নম্বর-১৪১), জনাব আলীর মেয়ে মরিয়ম (কার্ড নম্বর-১৩১) ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের বলিধপাড়া গ্রামের জহিরের মেয়ে রঙিলা। এই চারজন কার্ডধারীই সমস্ত চাল পাওয়ার কথা স্বীকার করেন। এদিকে চাল প্রদানের বিষয়টি স্বীকার করে ইউনিয়ন চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম টুলু বলেন, ‘কিভাবে এই সমস্যা এতদিন হয়েছে তিনি তা জানতেন না। তবে ভুলবুঝাবুঝির কারণেই হয়তবা এমনটা ঘটেছে। তবে সব চাল তাদের দিয়ে দেয়া হয়েছে। সেইসাথে ঐ চার নারী চাল পাওয়া মর্মে প্রত্যয়নপত্র দিয়েছেন বলে জানান চেয়ারম্যান শহিদুল। চাল প্রদানের বিষয়ে গোদাগাড়ী উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তাকে লিখিত প্রতিবেদন দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
এমকে