নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানা পুলিশের মাধ্যমে বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আব্দুল আলীমকে ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে তার অভিভাবকের কাছে।রবিবার (২৭ জুন) দুপুরে ছেলেটির পিতা আব্দুর রহিম ও দাদির কাছে তাকে হস্তান্তর করা হয়।
আব্দুর রহিম জানান তার ছেলে গত ১৫ জুন নিজবাড়ী অর্থাৎ রাজবাড়ী জেলার কালুখালী উপজেলার রতনদিয়া ইউনিয়নের রূপসা গ্রাম থেকে হারিয়ে যায়। অনেক খুজাখুজিররপর তাকে না পেয়ে স্থানীয় যোগাযোগ মাধ্যমে হারানো বিঙ্গপ্তি দেওয়া হয়। রতনদিয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ছেলেটা বুদ্ধিপ্রতিবন্ধি। সে না বুঝে বসার অলহ্মে ট্রনে উঠে পরে লকডাউনে ট্রেন বন্ধ থাকায় সে বাড়ি ফিরতে পারেনি।
এদিকে (২৫জুন) দুপুরে মাধনগর ষ্টেসনে স্থানীয় পরিবেশ কর্মি ও সাংবাদিক ফজলে রাব্বির নজরে আসে ছেলেটি। স্টেসানের সবাই যখন একটি ছেলেকে হাসি ঠাট্টার খরাক বানিয়ে আনন্দে মেতেছে। তখন ফজলে রাব্বির মাথায় অন্য চিন্তা। ছেলেটির অস্বাভাবিক আচার-আচরণ, কথা আর অঙ্গ ভঙ্গীতে সে বুঝতে পারে কথাও একটা সমস্যা আছে। তারপর একটু গিয়ে বিভিন্ন প্রশ্ন করলে, উত্তরে আলীম,রহিম আর রুপসা এর বেশি কিছু বলতে পারে না সে। আর ইশারায় হ্মুদার কথা জানায়। তারপর ফজলে রাব্বি নিজ খরচে পেট পুরে খাওয়ায় তাকে। আর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিজের ফেসবুক পেজ আর বিভিন্ন গ্রুপে এ্যড দিয়ে খুজতে থাকে। অবশেষে রাজবাড়ীর একটি ফেসবুক গ্রুপে ছেলেটির পরিবারের খোঁজ মিলে। জানাযায় তার পরিচয়।
পরে (২৬)জুন আলীমের পরিবারকে খবর দেওয়া হয়। এবং আলীমকে নলডাঙ্গা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এসময় ডিউটি অফিসার এ.এস.আই শরিফুল ইসলাম। পরে কালুখালী থানায় যোগাযোগের করা হয়। তারপর সকল নিয়ম মেনে প্রতিবন্ধি আলীমকে হস্তান্তর করা হয় তার পরিবারের কাছে। এ সময় নলডাঙ্গা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আব্দুল্লাহ আল মামুন এই কাজের জন্য পরিবেশ কর্মি ও সাংবাদিক ফজলে রাব্বিকে বিশেষ ধন্যবাদ ও সাধুবাদ জানান।