খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: ফর্মের তুঙ্গে থাকা অবস্থায়ই হঠাৎ অবসরের ঘোষণা। ২০১৮ সালের মে মাসে এবি ডি ভিলিয়ার্সের সব ফরমেটকে বিদায় জানানোর আকস্মিক সিদ্ধান্তে হতচকিয়ে উঠে পুরো ক্রিকেট বিশ্ব। কারণটা তখন সেভাবে খোলাসা করেননি। এতদিন পর দক্ষিণ আফ্রিকার সাবেক অধিনায়ক জানালেন, বড় এক কষ্ট কি করে তাকে ধীরে ধীরে অবসরের দিকে নিয়ে গিয়েছিল।
২০১৫ সালের ওয়ানডে বিশ্বকাপটা এখনও দগদগে ঘা হয়ে আছে প্রোটিয়া সমর্থকদের মনে। হট ফেবারিট দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডাকওয়ার্থ লুইসের মারপ্যাঁচে পড়ে বিদায় নিয়েছিল নিউজিল্যান্ডের কাছে হেরে। সেই ম্যাচের পর মাঠের মধ্যেই কাঁদতে দেখা গিয়েছিল ডি ভিলিয়ার্স-ফাফ ডু প্লেসিসদের।
তবে খেলতে গেলে কতবারই হৃদয় ভাঙার মতো ঘটনা ঘটে। কিন্তু ডি ভিলিয়ার্স ওই বিশ্বকাপের কথা সহজে ভুলতে পারেননি। একটি বছর তার মনে শুধু সেই ব্যর্থতাই ঘুরপাক খাচ্ছিল। সম্প্রতি ‘ক্রিকবাজ’-এর এক অনুষ্ঠানে হর্ষে ভোগলের সঙ্গে আলাপচারিতায় দক্ষিণ আফ্রিকা তথা বিশ্বের অন্যতম সেরা এই ব্যাটসম্যান জানালেন, ওই বিশ্বকাপ ব্যর্থতাই তার অবসরের পেছনে বড় একটা ভূমিকা রেখেছে।
ডি ভিলিয়ার্স বলেন, ‘সেটা আমাকে ধরে রেখেছিল। যদিও আমি খেলা চালিয়ে গেছি। আমি চেয়েছি দ্বিধা নিয়েও কঠিন কাজটি করতে। আমি থাকতে চেয়েছি। আমি খুব ভালো ব্যাটিং করছিলাম। এখনও অবিশ্বাস্য বন্ধুত্ব ও স্মৃতি আমার মনের মধ্যে রয়ে গেছে।’
৩৬ বছর বয়সী এই ব্যাটসম্যানকে সর্বকালের অন্যতম সেরা মনে করা হয়। ১৪ বছরের ক্যারিয়ারে ১১৪ টেস্টে ৮ হাজার ৭৬৫ এবং ২২৮ ওয়ানডেতে ৯৫৭৭ রান করেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে তো এখনও বিশ্বজুড়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। আরেকটু ভেবে কি সিদ্ধান্তটা নিতে পারতেন না?
ডি ভিলিয়ার্স মনে করেন, তার জন্য পুরো বিষয়টি কঠিন ছিল। তিনি বলেন, ‘আমার দিক থেকে দেখলে, এটা (২০১৫ বিশ্বকাপ) অনেক বড় ভূমিকা রেখেছে। পুরো বছরটাই আমার জন্য কঠিন ছিল। আমাদের দল হিসেবে শুরু করতে হতো, কিন্তু আমি আটকে ছিলাম। বিশ্বকাপ থেকে বের হতে পারিনি। এটা আমাকে অনেক বেশি কষ্ট দিচ্ছিল। আর হ্যাঁ, আমি খুব আবেগপ্রবণ। এই ধরনের বিষয়গুলো আমার অনুভূতি এবং উচ্চাকাঙ্খায় বড় প্রভাব ফেলে।’
ডানহাতি এই ব্যাটসম্যান মনে করছেন, সেই সময়টায় কোচ সতীর্থ কিংবা টিম ম্যানেজম্যান্টের সঙ্গে তার এই বিষয়ে কথা বলা দরকার ছিল। কিন্তু আবেগী ডি ভিলিয়ার্স সেটা পারেননি। মনের মধ্যেই দুঃখটা তাকে কুুঁড়ে কুঁড়ে খাচ্ছিল। শেষতক অবসরের মধ্যে শান্তি খুঁজে নেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই