নিজস্ব প্রতিবেদক : রাজশাহীতে পবিত্র ঈদুল আযহার নামায ঈদগাহের পরিবর্তে আদায়ের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। আসন্ন পবিত্র ঈদ-উল-আযহা-২০২০ উদ্যাপন উপলক্ষে রাজশাহী জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ২২ জুলাই রাজশাহীর জেলা প্রশাসক আব্দুল জলিলের সভাপতিত্বে প্রস্তুতিমূলক সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়।
অন্যান্য সিদ্ধান্তের মধ্যে রয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর কর্তৃক জারীকৃত স্বাস্থ্যবিধি আবশ্যিকভবে অনুসরণপূর্বক ঈদগাহ বা খোলা ময়দানের পরিবর্তে নিকটস্থ মসজিদে পবিত্র ঈদ-উল-আযহার জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। প্রয়োজনে একই মসজিদে একাধিকবার জামায়াত অনুষ্ঠিত হবে। জেলার প্রধান ঈদের জামায়াতসহ সকল জামায়াতের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীকে অনুরোধ করা হয়। সকল মসজিদে সিসিটিভি ক্যামেরার ব্যবস্থা করতে হবে।
কোরবানির পশুর উচ্ছিষ্ঠাংশ ও বর্জ্য দ্রæত অপসারনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ ও নির্ধারিত জায়গায় কোরবানির পশু জবাই করতে হবে। দেশীয় গরু কোরবানিতে উৎসাহ প্রদানসহ কোরবানির পশুতে স্টেরয়েড হরমোন ও গরু মোটাজাতকরণ ট্যাবলেটের ব্যবহার রোধকল্পে নিয়মিত মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। পশুর হাটে প্রতারণা ঠেকাতে জাল নোট চিহ্নিত করণ, পশুবাহী যানবাহন আটকে চাঁদাবাজী এবং নিষ্ঠুরভাবে গরু না আনার বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
পবিত্র ঈদ-উল-আযহা কে কেন্দ্র করে ঈদের আগে ৫(পাঁচ) দিনের বেশি সময়ের জন্য যেন পশুর হাট
ইজারা দেয়া না হয় এবং পশু হাট নির্ধারিত স্থানে বসানো হয় সে বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ রাজশাহী সিটি মেয়র, পৌর মেয়র (সকল) ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার (সকল) কে অনুরোধ করা হয়।
কোরবানির পশুর হাটগুলোর আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখার লক্ষে এবং জাল টাকা, অজ্ঞানপার্টি ও মলম পার্টির খপ্পর থেকে সাবধান থাকার বিষয়টি প্রচারনা চালানো ও ওয়াচ টাওয়ার এবং সিসিটিভি লাগানোর ব্যবস্থাসহ স্বাস্থ্যবিধি নিশ্চিত করতে জেলা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রধান হাটগুলোতে মেডিকেল টিম গঠন করতে হবে।
ঈদের আনন্দ প্রকাশ করতে উচ্চস্বরে গান বাজানো ও দ্রুতগতিতে যানবাহন চালানো যাবে না মর্মে গোয়েন্দা সংস্থা সমূহকে নিরাপত্তার বিষয়ে সার্বিক গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রাখতে হবে। পরিচ্ছন্নকর্মীদের দ্রæত বর্জ্যসমূহ পরিষ্কারের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে । কোরবানির পশুর চামরা
রপ্তানি আয় বৃদ্ধির লক্ষে চামড়া ছড়ানো ও পরিবেশ আইন অনুযায়ী সংরক্ষণ ও সচেতনতামূলক কার্যক্রম গ্রহনের পাশাপাশি স্থানীয় পর্যায়ে চামড়া সংগ্রহ/ক্রয় , নির্ধারিত মূল্য বাস্তবায়ন , ফটকা বাজারি, গুজব ও বিশৃঙ্খলা রোধের ব্যবস্থা নিতে হবে। ঈদের জামায়াত শেষে দেশবাসি ও মুসলিম উম্মাহর জন্য দোয়া করতে হবে।
এমকে