খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: আইপিএলের তেরোতম আসর এখনও রয়েছে পুরোপুরি অন্ধকারে। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড এবারের টুর্নামেন্ট পুরোপুরি বাতিলও করে দেয়নি। আবার হবে কি না, সে ব্যাপারেও শতভাগ নিশ্চিত নয়। তবে, অস্ট্রেলিয়ায় যদি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ অনুষ্ঠিত না হয়, তাহলে আগমী সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে আইপিএল আয়োজন করার জন্য বদ্ধপরিকর বিসিসিআই।
এরই মধ্যে কথা উঠেছে আইপিএলের ভেন্যু নিয়ে। কয়টা ভেন্যুতে আইপিএলের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে, সে ব্যাপারে আলোচনা চলছিল। করোনাভাইরাসের মহামারির কারণে ভারতের নির্দিষ্ট একটি অঞ্চলে ম্যাচগুলো আয়োজন করা হবে কি না তা নিয়েও কথা হচ্ছিল। কারণ, ভারতজুড়ে আইপিএল আয়োজনের অর্থ হচ্ছে, করোনা সংক্রমণের ব্যপক ঝুঁকি তৈরি করা। তারওপর, বিমান ভ্রমণ হলে ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইনের ব্যাপার আছে।
তবে আইপিএলের আয়োজন নিশ্চিত না হলেও, ভারতীয় মিডিয়ায় আলাপ উঠেছে, শুধুমাত্র একটি শহরেই অনুষ্ঠিত হতে পারে পুরো আইপিএল। ভারতের বাণিজ্যিক রাজধানী মুম্বাইয়ে বসতে পারে পুরো আইপিএলের আসর।
কলকাতা, জয়পুর, দিল্লি, বেঙ্গালুরু, চেন্নাইসহ বাকি সাত দলের ঘরের মাঠ বলে আর আলাদা করে কিছু থাকবে না। সবগুলো দল মুম্বাইতেই থাকবে এবং খেলবে। যেহেতু মাঠে দর্শক প্রবেশের অনুমতি থাকবে না, সে কারণে হোমভেন্যুর আর কোনো সুবিধাও থাকবে না ফ্রাঞ্চাইজিগুলোর। এ কারণেই এ সিদ্ধান্ত নিতে পারে আইপিএল কর্তৃপক্ষ।
আইপিএলের অন্যতম বড়মাপের শেয়ারহোল্ডারের পক্ষ থেকে নাকি এমন প্রস্তাবই দেওয়া হয়েছে বিসিসিআইকে। এক্ষেত্রে কী লাভ হবে? যুক্তি হিসেবে বলা হচ্ছে, একটি শহরেই আইপিএল হলে করোনা প্রবাহের মধ্যে বারবার প্রতিটি দলকে একাধিক শহরে সফর করতে হবে না। এতে সংক্রমণ থেকে বাঁচা যাবে। সে সঙ্গে মুম্বাইয়ে একাধিক স্টেডিয়াম থাকায় ঘুরে-ফিরে ম্যাচ আয়োজনেও সমস্যা হবে না। সেই জন্যই এই পথে এগোতে পারে বিসিসিআই।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এক কর্মকর্তার ভাষায়, ‘অক্টোবরের মধ্যে আইপিএল হবে কি না, এই আলোচনা একেবারেই প্রাথমিক স্তরে রয়েছে। তাছাড়া সে সময় মুম্বাইয়ের পরিস্থিতি কেমন, সেটাও দেখতে হবে। ওই শহরে বিশ্বমানের চারটি স্টেডিয়াম আছে। তাই এক জায়গায় আইপিএল হলে বিসিসিআই থেকে সম্প্রচারকারি চ্যানেল- প্রত্যেকেরই সুবিধা হবে।’
উল্লেখ্য, প্রতিদিনই মহারাষ্ট্রে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা। গোটা ভারতের মধ্যে মুম্বাইয়ের করোনা পরিস্থিতিও খুব উদ্বেগজনক।
এর আগে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি জানিয়েছিলেন, পরিস্থিতির উপর নজর রাখা হচ্ছে। ২০২০ সালটা যাতে আইপিএলহীনভাবে শেষ না হয়, সে জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই