আন্তর্জাতিক ডেস্ক করাচিতে গত মাসে বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে পাকিস্তান। সেখানে জানানো হয়েছে, দুই পাইলট করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনায় এতটাই মগ্ন হয়ে পড়েছিলেন যে, বিমান চালানোয় তাদের মনোযোগ ছিল না। যার জেরে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।
বুধবার দেশটির বিমান চলাচল মন্ত্রী গুলাম সারওয়ার খান পার্লামেন্টে এই তদন্ত প্রতিবেদনটি প্রকাশ করেন।
গত ২২ মে পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান করাচির জিন্নাহ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাওয়ার পথে একটি আবাসিক এলাকার ওপর বিধ্বস্ত হয়। এতে এ৩২০ মডেলের বিমানটিতে থাকা ৯৭ আরোহী নিহত হয়। বেঁচে যায় দুই আরোহী।
গুলাম সারওয়ার খান জানান, বিমানটির কোনো ত্রুটি ছিল না। তিনি বলেন, “পাইলটরা বিমান চালনায় অমনোযোগীছিল। তারা সারাক্ষণ করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা করে গেছেন। তাদের মনের মধ্যে ছিল এ বিষয়টিই। তাদের পরিবার করোনাভাইরাসের কবলে পড়েছে। আর সেটি নিয়েই তারা আলোচনা করছিলেন।”
সারওয়ার খান জানান, তদন্ত প্রতিবেদনে দেখা গেছে, পাইলট শেষ মুহূর্তেও বিমানের কোনো যান্ত্রিক ত্রুটির কথা জানাননি। কিন্তু অবতরণের আগে বিমানটি যে উচ্চতায় ওড়ার কথা ছিল সে নিয়মমাফিক উচ্চতায় সেটি ছিল না।
এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোল থেকে পাইলটকে এ ব্যাপারে সতর্ক করে দিয়ে অবতরণ করতে মানাও করা হয়। কিন্তু পাইলট সে নির্দেশনা আমলে নেননি।
বিমান অবতরণের মুহূর্তে থাকার সময় পাইলটদেরকে সতর্ক করা হয়। তখন পাইলট বলেছিলেন, ‘আমি এটি সামলে নেব…’ কিন্তু পরক্ষণেই তারা আবার করোনাভাইরাস নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।
ফ্লাইট ডাটা রেকর্ডার থেকে দেখা গেছে, পাইলট ল্যান্ডিং গিয়ারও ঠিকমত নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি, বলেন মন্ত্রী সরোয়ার খান।
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনাটির পূর্ণ তদন্ত প্রতিবেদন এক বছরের মধ্যে উপস্থাপন করা হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।খবর২৪ঘন্টা /এবি