খবর২৪ঘন্টা স্পোর্টস ডেস্ক: করোনা ভাইরাসের মধ্যেই অবশেষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফিরছে মাঠে। ইংল্যান্ডের মাটিতে টেস্ট খেলতে যাচ্ছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সমর্থকদের জন্য তো এ এক বিশাল খুশির খবর।
তবে খুশি হতে পারছেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার এন্ডি রবার্টস। তার মতে, টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের দলকে ‘গিনিপিগ’ হিসেবে ব্যবহার করছে ইংল্যান্ড।
সিরিজ খেলতে ইতিমধ্যেই ইংল্যান্ডে পা রেখেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। করোনার মধ্যে নানা ধরনের সতর্কতা মানতে হচ্ছে জেসন হোল্ডারদের। ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন পর্ব শেষ করে তবেই অনুশীলন আর প্রস্তুতি শুরু করতে পারেবেন তারা।
এদিকে ঘরের মাঠে ক্রিকেট ফিরছে বলে ভীষণ খুশি ইংল্যান্ড। তারা ক্যারিবীয় দলকে বেশ আতিথেয়তা দিচ্ছে। তবে অভিযোগ উঠেছে, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে টাকা ধার দিয়ে সিরিজ খেলাতে রাজি করিয়েছে ইংল্যান্ড। রবার্টস মনে করেন, অন্য কোনো দল এই সময়টায় ইংল্যান্ড সফরে যেত না।
যুক্তরাজ্যে করোনা পরিস্থিতি এখন ভয়াবহ। সেখানে আক্রান্ত রোগী ২ লাখ ৯২ হাজারের বেশি। মৃতের সংখ্যা ৪২ হাজারের মতো। কোনোভাবেই করোনা সামাল দিতে পারছে না দেশটি।
এমতাবস্থায় বলতে গেলে জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সেখানে খেলতে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিখ্যাত ‘পেস চতুষ্টয়ের’ অন্যতম এন্ডি রবার্টস মনে করেন, দুর্নীতি আর আর্থিক সমস্যায় জর্জরিত ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডকে কিছু ‘আর্থিক সাহায্যে’র বিনিময়েই বড় স্বার্থ হাসিল করে ফেলেছে ইংলিশরা।
রবার্টস বলেন, ‘ইংল্যান্ডে যাওয়ার ব্যাপারে কী আলোচনা হয়েছে না হয়েছে তা নিয়ে আমার কোনো সমস্যা নেই। আমার আপত্তি হলো এই যে বলা হচ্ছে সফর থেকে আর্থিকভাবে কোনো লাভ হবে না ওয়েস্ট ইন্ডিজের তা নিয়ে। আমি মনে করি এটি ভুল। কারণ আমরা যে সুযোগ নিয়েছি তা অন্য কোনো দল তা করত বলে মনে হয় না। আমরা কি এমনিতেই ইংল্যান্ডকে ৩.৮ কোটি পাউন্ড (প্রায় ৪০০ কোটি টাকা) ক্ষতির হাত থেকে বাঁচিয়ে দিচ্ছি। তারা যদি আমাদের কিছুই না দেয়, কেন আমরা গিনিপিগের মতো নিজেদের সেখানে উৎসর্গ করতে গেলাম?’
প্রসঙ্গত, গত মে মাসে ক্রিকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩০ লাখ মার্কিন ডলার (প্রায় ২৫ কোটি টাকা) ধার দিয়েছে ইংল্যান্ড অ্যান্ড ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)। আর্থিক দুরবস্থায় থাকা ক্যারিবীয় বোর্ড এই টাকা দিয়ে খেলোয়াড়দের বেতনভাতা ও ম্যাচ ফি পরিশোধ করেছে।
আইসিসির কাছে থাকা পাওনা টাকা পেতে দেরি হওয়াতে এক রকম বাধ্য হয়েই ইসিবির কাছে থেকে এই টাকা নিয়েছে তারা। এরপরই কথা উঠেছে, মূলত ইংল্যান্ডে খেলতে যাবার শর্তেই টাকাটা দিয়েছে ইসিবি। যদিও ক্যারিবীয় বোর্ডের পক্ষ থেকে এমন অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।