খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: গাইবান্ধার গিদারী গ্রামে হত্যার শিকার মিতুর মরদেহ বৃহস্পতিবার সকালে ময়মনসিংহের নান্দাইলের রাজঘাতী ইউপির খলাপাড়ায় দাফন করা হয়েছে।
মিতু আক্তার নান্দাইলের খলাপাড়া গ্রামের মানিক মিয়ার মেয়ে। একটি পোশাক কারখানায় চাকরির সুবাধে সহকর্মী গাইবান্ধা সদরের গিদারী গ্রামের রাসেলের সঙ্গে প্রেম ছিল। মেয়ের মা কলি আক্তার জানান, তাদের মেয়ে পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গত চার মাস আগে ওই ছেলেকে বিয়ে করে শ্বশুর বাড়িতে অবস্থান করছিল। মিতুর স্বামী রাসেলের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশীদের জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলছিল। প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতেই মেয়েকে হত্যা করা হয়।
রাসেল গাইবান্ধা সদর উপজেলার গিদারী ইউপির গিদারী গ্রামের সাইদুল ইসলাম হায়দারের ছেলে।
মিতুর চাচা মোস্তাফিজুর রহমান জানান, ২৬ এপ্রিল দুপুরের দিকে মিতুকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বিকেল তিনটায় রাসেলের ফুফাতো বোন ফারজানা ফোনে জানায় মিতুকে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষরা হত্যা করেছে। স্থানীয় মেম্বার রাজিউল হাসিব রুপন, মেয়ের মা কলি আক্তার, প্রতিবেশী সোহেল ঘটনাস্থলে পৌঁছে গাইবান্ধা সদর থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হলে মিতুর মরদেহ নান্দাইলে এনে সকালে বাবার বাড়িতে দাফন করা হয়। গাইবান্ধা সদর থানার ওসি খান মোহাম্মদ শাহরিয়ার জানান, ভিকটিমের স্বামী রাসেলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। পরবর্তীতে তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/এবি
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।