খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: আদতে উকুন তেমন ক্ষতিকারক না হলেও নিয়মিত মাথা চুলকানি ক্রমাগত অস্বস্তিতে রাখে বড়দের পাশাপাশি পরিবারের ছোট সদস্যদেরও। তাই ছোটদের অনবরত মাথা চুলকানো নিশ্চিত করে দেয় আপনার পরিবারে এই বিরক্তিকর অনাহূত অতিথির আগমন। মূলত স্কুল, খেলার মাঠ বা দীর্ঘ সময় যেখানে পাশাপাশি থাকতে হয় সেখান থেকে তারা এই পোকাটিকে বয়ে আনে। দ্রুত এক মাথা থেকে আর এক মাথায় সংক্রমিত হয়।
.
এবার চাই এর থেকে নিষ্কৃতি, যা মোটেই সহজ নয়। প্রথমত, বাজারচলতি শ্যাম্পুতে ব্যবহৃত রাসায়নিক আপনার শিশু সন্তানের জন্য একটু বেশিই ক্ষতিকারক। বারবার শ্যাম্পু কিনলে খরচটা নেহাত কম হয় নয়। দ্বিতীয়ত, একাধিকবার শ্যাম্পুর প্রয়োগের পাশাপাশি প্রয়োজন উকুন বাছার জন্যে ঘন দাড়াবিশিষ্ট বিশেষ চিরুণির, যা ব্যবহারে নারাজ আপনার পরিবারের ছোট সদস্যটি। কারণ এটির প্রয়োগ মাথায় আরামের বদলে কচিকাঁচাদের বিরক্তি বাড়ায়। এসবের বাইরে গিয়ে অন্যরকম টোটকা থাকল আপনাদের জন্য। যা হাতের নাগালেই রয়েছে। যাতে কোনও রাসায়নিকের বালাই নেই। তবে উকুন থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে বেশ খানিকটা ধৈর্য ধরতে হবে।
যা যা প্রয়োজন:
একটি উকুন বাছার চিরুণী
মাউথওয়াশ
হোয়াইট ওয়াইন ভিনিগার
একটি প্লাস্টিকের ব্যাগ বা শাওয়ার ক্যাপ
তোয়ালে
যা করবেন:
প্রথমে মাউথওয়াশ দিয়ে চুল ভিজিয়ে নিন। এরপর চুলের গোছা প্লাস্টিক বা শাওয়ার ক্যাপে মুড়িয়ে নিন।
এভাবে এক ঘণ্টা রাখতে হবে। এতে আপনার মতো অধৈর্য হয়ে পড়বে উকুনগুলো। মাউথওয়াশের গন্ধে ওরা একেবারে নাজেহাল হবে।
এরপর চুলটা ধুয়ে নিন। একপ্রস্থ কাজ শেষ। চুল যখন ভেজা অবস্থায় তখন তাতে হোয়াইট ওয়াইন ভিনিগার দিন। এতে উকুনের ডিমের বারোটা বাজবে। এভাবে অবশ্য আরো একটা ঘণ্টা অপেক্ষা করতে হবে।
এই পর্যন্ত কাজ অনেকটাই হয়ে গেল। এবার যে শ্যাম্পু ব্যবহার করেন তা দিয়ে চুলটা ধুয়ে ফেলুন। উকুন বাছার চিরুণী দিয়ে মাথ আঁচরান।
এরপরও কোনোভাবে আপনার বাচ্চা উকুন বয়ে আনলে স্কুলে যাওয়ার আগে একবার মাউথওয়াশ স্প্রে করে দিন। তাতে ওদের মেজাজটাও ফুরফুরে থাকবে। উকুন মাথায় বাসা বাঁধার আর সাহসও পাবে না।
তথ্য ও ছবি: এসপি
খবর২৪ঘন্টা/নই