খবর২৪ঘন্টা আন্তর্জাতিক ডেস্ক: চীন থেকে দ্বিগুণ বেশি দামে টেস্ট কিট কিনে বিপাকে পড়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার। সেসব টেস্ট কিট ভাল ফল দিচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। এর মধ্যে কিট সরবরাহকারী ও আমদানিকারক প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দ্বন্দ্ব গড়িয়েছে দিল্লি হাইকোর্টে।
এনডিটিভি জানায়, বিভিন্ন রাজ্যে পাঠানো চাইনিজ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্ট কিটগুলো নিয়ে অভিযোগ আসতে শুরু করেছে এর মধ্যে। বেশিরভাগ কিটেই নানা সমস্যা রয়েছে। ফলে কিটগুলো দিয়ে করোনা টেস্টের ফলাফল যথাযথভাবে মিলছে না।
দেশটিতে কিট সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান রিয়েল মেটাবলিকস অনেক বেশি দামে কভিড-১৯ পরীক্ষার এই কিটগুলো কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে বিক্রি করেছে। এরপরে এই নিয়ে বিরোধ বাধে কিটের আমদানিকারক সংস্থা ও রিয়েল মেটাবলিকসের মধ্যে। সেই বিরোধকে ঘিরে দিল্লি হাইকোর্টে একটি মামলাও হয়েছে।
জানা গেছে, ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চের (আইসিএমআর) মাধ্যমে ২৭ মার্চ একটি চীনা ফার্ম ওনডফো থেকে পাঁচ লাখ র্যাপিড অ্যান্টিবডি টেস্টের কিট কিনে ভারত সরকার।
আমদানিকারক কোম্পানি ম্যাট্রিক্স প্রতিটি করোনা কিট ২৪৫ রুপি দরে চীন থেকে ভারতে কিনে আনে। অথচ সরবরাহকারী সংস্থা রিয়েল মেটাবলিকস ও আর্ক ফার্মাসিউটিক্যালস সেগুলো সরকারের কাছে প্রতিটি ৬০০ রুপি করে বিক্রি করে। এর মানে ৬০ শতাংশ বেশি লাভ করেছে সরবরাহকারীরা।
পরে তামিলনাড়ু সরকার একই আমদানিকারক ম্যাট্রিক্সের কাছ থেকে অন্য সরবরাহকারী কোম্পানি শান বায়োটেকের মাধ্যমে ওই একই দরে করোনা কিট কিনতে যায়। তখন এই দুর্নীতির বিষয়টি প্রকাশ পায়। তখন ম্যাট্রিক্স ও রিয়েল মেটাবলিকসের মধ্যে দ্বন্দ্ব তৈরি হয়। এই খবর বেরিয়ে আসায় ম্যাট্রিক্সকেই দায়ী করে সরবরাহকারীরা।
এদিকে করোনা কিটগুলোর দাম ৪০০ রুপি করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। তবে আইসিএমআর সরকারের হয়ে কেন অনেক বেশি দামে ওই কিট কিনেছে সে বিষয়ে সংস্থাটি এখনও কিছু জানায়নি।
প্রসঙ্গত সোমবার সকালে দ্য হিন্দু’র লাইভ আপডেটে জানানো হয়, দেশটিতে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত ২৭ হাজার ৮৭১ জন। মারা গেছেন ৮৮১ জন।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।