আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাতিসংঘের অন্যতম সহযোগী সংস্থা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) কঠিন সময় পার করছে। একদিকে বিশ্বব্যাপী মহামারি রূপ নেয়া করোনাভাইরাস অন্যদিক সংস্থাটিতে সবচেয়ে বেশি আর্থিক সাহায্য দেয়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অনুদান বন্ধের ঘোষণা। এ অবস্থায় পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা নিয়ে মুখ খুলছেন না বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা।
বিশ্বের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়ে কাজ করা সবচেয়ে বড় এই সংস্থায় কারা আর্থিক সাহায্য প্রদান করেন? কোন দেশ কত টাকা দেন? চলুন তা একনজরে দেখে নেয়া যাক –
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সবচেয়ে বড় আর্থিক অনুদানকারী। সংস্থার দেয়া তথ্য অনুযায়ী মোট অনুদানের ১৪.৬৭ শতাংশ দেয় এই দেশটি। আর্থিক অনুদানকারীর তালিকায় রয়েছনে মাইক্রোসফটের প্রতিষ্ঠাতা ও বিশ্বের অন্যতম শীর্ষ ধনী বিল গেটসের ফাউন্ডেশন বিল এন্ড মেলিন্ডা গেটস। তারা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে দেন মোট অনুদানের ৯.৭৬ শতাংশ।
এছাড়া জেনেভার একটি সংস্থা জিএভিআই এর পক্ষ থেকে দেয়া হয় ৮.৩৯ শতাংশ অনুদান। অবাক করা বিষয় হলো এই সংস্থাও পরিচালনা করেন বিল ও মেলিন্ডা গেটস।
এছাড়া যুক্তরাজ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে মোট অনুদানের ৭.৭৯ শতাংশ দেয়। জামার্নি দেয় ৫.৮৬ শতাংশ। আর চীন এই সংস্থাকে অনুদান দেয় মাত্র ০.২১ শতাংশ। চীনের থেকেও বেশি অনুদান দেয় ভারত পাকিস্তান। ভারতের আর্থিক অনুদান ০.৪৮ শতাংশ ও পাকিস্তান দেয় ০.৩৬ শতাংশ।
বিভিন্ন দেশের আর্থিক অনুদানের পাশাপাশি বিভিন্ন সেচ্ছাসেবী সংগঠন থেকেও আর্থিক অনুদান গ্রহন করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা। এছাড়া সদস্য দেশগুলোর কাছ থেকে ফি হিসেবে আর্থিক অনুদান নেয় দেশটি। এই ফি সংশ্লিষ্ট দেশটির জনসংখ্যা, অর্থনৈতিক অবস্থা ও জনস্বাস্থ্যের অবস্থার ওপর নির্ভর করে।
সংস্থাটিকে যদি সত্যিই আর্থিক সাহায্য বন্ধ করে যুক্তরাষ্ট্র তাহলে বিকল্প পথ ধরে এগোতে হবে তাদের। এছাড়া বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে যুক্তরাষ্ট্রের আর্থিক অনুদান বন্ধের ট্রাম্পের সমালোচনা করেছেন বিল গেটস। তিনি জানিয়েছেন, এই সিদ্ধান্ত খুবই অস্বস্তিকর। এর ফলে করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই আরও কঠিন হয়ে যাবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।