খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: করোনাভাইরাসের অর্থনৈতিক ক্ষতি মোকাবেলায় বড় ও সেবা শিল্পের জন্য চলতি মূলধন ঋণ যোগানে প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত প্যাকেজের ৩০ হাজার কোটি টাকার তহবিলের ব্যবহার নিয়ে নীতিমালা জারি করা হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, এ তহবিলের পুরোটাই বাণিজ্যিক ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজস্ব উৎস থেকে বিতরণ করতে হবে। যে সকল শিল্প ও সেবা প্রতিষ্ঠান করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব এর কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শুধু সেসব প্রতিষ্ঠানই এর আওতায় সুবিধা পাবে। কোন খেলাপি গ্রহীতা এ তহবিলের ঋণ পাবেন না।
এছাড়া যে সব প্রতিষ্ঠানের ঋণ মন্দঋণে পরিণত হওয়ায় এরই মধ্যে তিনবারের বেশি পুনঃতফসিল সুবিধা নিয়েছেন, তারাও এই প্যাকেজের সুবিধা পাবেন না। রোববার এ সংক্রান্ত নীতিমালা সার্কুলার আকারে জারি করা হয়েছে।
নীতিমালায় বলা হয়েছে, এই তহবিল থেকে ব্যাংকের মাধ্যমে উদ্যোক্তারা ৯ শতাংশ সুদে ঋণ নিতে পারবে। তবে তাদের ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ পরিশোধ করতে হবে, বাকি ৪ দশমিক ৫ শতাংশ সুদ সরকার ভর্তুকি হিসেবে দেবে।
ঋণের সীমা ও মেয়াদ নিয়ে বলা হয়, ২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত ঋণের স্থিতির মধ্যে স্ব স্ব ব্যাংকের অবদান এবং সম্ভাব্য ঋণ চাহিদার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে প্রতিটি ব্যাংক এ প্যাকেজের আওতায় ঋণের নিজস্ব চাহিদা নির্ধারণ করবে, যা এ প্যাকেজের আওতায় সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের ঋণের প্রাথমিক সীমা হিসেবে বিবেচিত হবে।
ওই সীমার উপর ভিত্তি করে ব্যাংক তাদের ঋণ কার্যক্রম পরিচালনা করবে। ব্যাংক কর্তৃক ওই সীমা নির্ধারণের পর স্বল্পতম সময়ের মধ্যে বাংলাদেশ ব্যাংককে জানাতে হবে। বাংলাদেশ ব্যাংক প্রয়োজনে ওই সীমা বাড়াতে বা কমাতে পারবে। এ প্যাকেজের মেয়াদ হবে তিন বছর। তবে কোনো একক গ্রাহকের অনুকূলে প্রদত্ত ঋণের জন্য সর্বোচ্চ এক বছর মেয়াদের জন্য এ প্যাকেজের আওতায় সরকার হতে ভর্তুকি পাওয়া যাবে।
এতে আরো বলা হয়, এ প্যাকেজের আওতায় তফসিলি ব্যাংকের নিজস্ব ঋণ নীতিমালা অনুযায়ী ঋণ মঞ্জুরি অনুমোদিত হতে হবে। তবে প্রতিটি ঋণ বিতরণের পূর্বে বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ হতে সম্মতিপত্র গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগের আওতায় ‘বিশেষ মনিটরিং ইউনিট’ নামে একটি ইউনিট থাকবে। এ প্যাকেজের আওতায় ঋণ/বিনিয়োগ সংক্রান্ত যে কোন প্রয়োজনে তফসিলি ব্যাংকসমূহ উক্ত ইউনিটের সাথে যোগাযোগ করবে।
খবর২৪ঘন্টা/ বিআ