খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যা মামলায় পলাতক পাঁচ আসামির মধ্যে দুইজনের বিষয়ে সুনির্দিষ্ট তথ্য সরকারের কাছে আছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। তাদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সবোচ্চ চেষ্টা চলছে বলেও জানান তিনি।
রবিবার দুপুরে মন্ত্রীর ধানমন্ডির বাসভবনে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
এর আগে নৌ প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরীর এমপি শিপার্স কাউন্সিল অব বাংলাদেশের পক্ষ থেকে দুঃস্থ ও অসহায় মানুষের জন্য দুই হাজার প্যাকেট খাদ্যসামগ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে হস্তান্তর করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, বাংলাদেশ শিপার্স কাউন্সিলের চেয়ারম্যান মো. রেজাউল করিম।
প্রতি প্যাকেট খাবারের মধ্যে রয়েছে- ৫ কেজি চাল, ২ কেজি ডাল, ৩ কেজি আলু, ১ লিটার তেল, ১ কেজি লবন ও ১ টি সাবান। এসব খাদ্যসামগ্রী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার দরিদ্র মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেয়া হবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর খুনি ক্যাপ্টেন (বরখাস্ত) আব্দুল মাজেদ ফাঁসি কার্যকর হয়েছে। এতে জাতি আবারও ভারমুক্ত হলো। তার ফাঁসি প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে দেশবাসীর জন্য মুজিব বর্ষের উপহার।’
‘বাকি পলাতক আরও পাঁচ খুনি বিদেশে পালিয়ে রয়েছে। তাদের মধ্যে দুইজন কোথায় আছে সে সম্পর্কে আমাদের কাছে সুনির্দিষ্ট তথ্য আছে। এদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সরকার সবোর্চ্চ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যত দ্রুত সম্ভব তাদের দেশে এনে ফাঁসি কার্যকর করা হবে।’
রবিবার দিবাগত রাত ১২:০১ মিনিটে বঙ্গবন্ধুর আত্মস্বীকৃত খুনি আব্দুল মাজেদের ফাঁসি কার্যকর হয়। এর আগে মঙ্গলবার মিরপুর সাড়ে ১১ নম্বরে স্ত্রীর বাসা থেকে মাজেদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। দীর্ঘ প্রায় দুই যুগ খুনি মাজেদ ভারতে পালিয়ে ছিলেন। গতমাসে দেশে এসে পরিবারের সঙ্গে রাজধানীতে বসবাস করছিলেন।
দেশবাসীকে ঘরে থাকার আহ্বান জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলন, ‘আপনাদের বারবার অনুরোধ করছি, ঘরে অবস্থান করুন। অতি প্রয়োজন ব্যতিত ঘর হতে বের হবেন না।’
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।