ভোলাহাট(চাঁপাইনবাবগঞ্জ)প্রতিনিধিঃ মহামারি আকার ধারণ করেছে করোনা ভাইরাস। দিন দিন বাড়তে আছে আক্রান্ত রুগীর সংখ্যা। সরকার পক্ষ থেকে বারবার সামাজিক দূরুত্ব, গণজমায়েত না করা, হাট-বাজার বন্ধ রাখা, প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে না থাকা, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলাসহ ভোলাহাট উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ব্যাপক প্রচার-প্রচারনা চালিয়ে আসছে। কিন্ত স্থানীয় জনগন করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারী আইন না মেনে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে ছুটে বেড়াচ্ছে যেখানে সেখানে। এতে ভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার আশংকা দেখা দিতে পারে। ফলে করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে কঠোর হয় প্রশাসন। বৃদ্ধি করা হয় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযান।
বেলা সাড়ে ১১টার দিকে উপজেলার মেডিকেলমোড়ে অপ্রয়োজনে বেশ কিছু যুবক ও বিভিন্ন বয়সী ব্যক্তি ঘোরাফেরা করলে সেনাবাহিনী প্রায় ২৫ যুবকে রোদে দাঁড় করে রাখে। এদিকে স্থানীয় প্রশাসনের গণবিজ্ঞপ্তিতে জারি করা হয়েছে সাপ্তাহিক হাট বন্ধ, কাঁচা বাজার, মুদিদোকান সকাল ৭টা হতে দুপুর ১ পর্যন্ত চলবে। বাঁকী সময় বন্ধ থাকবে। ঔষধের দোকান খোলা থাকবে। তবে ২জনের বেশী দোকানে ভিড় করলে সেটাও বন্ধ করে দেয়া হবে বলে জানানো হয়। এ নির্দেশ পরবর্তী আদেশ না দেয়া পর্যন্ত কার্যকর থাকবে। দিনরাত অভিযোন অব্যহত রেখেছে স্থাণীয় পুলিশ ।
এদিকে বিকেল ৫টার পরে দেখা যায়, সকল দোকানপাট বন্ধ ও দায়িত্বরত পুলিশ, গ্রাম পুলিশ, সংবাদকর্মী ও পত্রিকা বিক্রেতা ছাড়া কাউকে দেখতে পাওয়া যায়নি। এযেন অঘোষিত লকডাউন। তবে সেনা টহলের প্রভাব উপজেলার কিছু কিছু স্থানে দেখা গেলেও গ্রামের চিত্র ভিন্ন। উপেক্ষিত হচ্ছে সরকারি নির্দেশনা। যেসব স্থানে সরকারি নির্দেশনা মানছেননা সেসব স্থানে সেনা টহল তৎপরতা বাড়ানোর দাবী করেছেন সচেতন মহল।
খবর২৪ঘন্টা/নই
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।