আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ইউরোপ ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে জঙ্গি গোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)। ইউরোপের দেশগুলোতে ভ্রমণ এড়িয়ে চলতে যোদ্ধাদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা বাড়ছেই। চীনের পর সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইউরোপের দেশগুলো।
ইউরোপকে প্রাণঘাতী এই ভাইরাসের মহামারির ‘কেন্দ্রস্থল’ হিসেবে ঘোষণা করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
এর আগে সংস্থাটি করোনাভাইরাসকে বিশ্ব মহামারি হিসেবে ঘোষণা দেয়। করোনা সংক্রমণ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত ইউরোপের অন্তত তিনটি দেশে সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে গতকাল।
শুধু ইতালিতেই একদিনে প্রাণ হারিয়েছেন ৩৬৮ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা ১ হাজার ৮০৯। এছাড়া নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৩ হাজার ৫৯০ জন। ফলে দেশটিতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা ২৪ হাজার ৭৪৭।
করোনাভাইরাসে ইউরোপের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আক্রান্ত দেশ স্পেন। রোববার সেখানে প্রাণ হারিয়েছেন ৯৭ জন, যা একদিনে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ২৮৮ জন।
ফ্রান্সে একদিনে মারা গেছেন আরও ২৯ জন এবং আক্রান্ত হয়েছেন ৯২৪ জন। এ নিয়ে দেশটিতে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২০ এবং আক্রান্ত ৫ হাজার ৪২৩ জন।
সানডে টাইমসের এক প্রতিবেদন অনুযায়ী, আইএস তাদের এক নির্দেশনায় ইউরোপ ভ্রমণের ব্যাপারে যোদ্ধাদের সতর্ক করেছে। অথচ এর আগে ইউরোপের বিভিন্ন স্থানেই হামলার পরিকল্পনা ছিল আইএসের। অথচ করোনার আতঙ্কে তারা সেই অবস্থান থেকে সরে এসেছে। কোনো যোদ্ধা যদি ইউরোপের কোনো দেশে করোনভাইরাসে আক্রান্ত হয় তবে সে যেন সেখানেই অবস্থান করে বলে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।
আক্রান্ত হওয়ার পর ওই স্থান থেকে পালিয়ে গেলে এই ভাইরাস ছড়াতে পারবে না। তাই আইএস তাদের যোদ্ধাদের নির্দেশ দিচ্ছে, করোনায় আক্রান্ত হলে ওই এলাকাতেই অবস্থা করতে হবে।
আইএস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, যারা সুস্থ আছেন তারা যেন ইউরোপের কোনো দেশে ভ্রমণ না করেন। আর যারা ইতোমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন তারা যেন কোনোভাবেই সেই দেশ ত্যাগ না করে।
একই সঙ্গে হাঁচি-কাশির সময় মুখ কাপড় দিয়ে বেঁধে রাখা এবং প্রতিদিন ভালোভাবে হাত পরিষ্কারের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে আইএস তাদের অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছে। কিন্তু এই জঙ্গি সংগঠন ইরাক ও সিরিয়ায় এখনও সক্রিয় রয়েছে।
ইউরোপ ছাড়াও মধ্যপ্রাচ্যেও আঘাত হেনেছে করোনাভাইরাস। এখন পর্যন্ত ইরাকে ১০১ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে এবং মারা গেছে ১০ জন। মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে সবচেয়ে বেশি তাণ্ডব চালিয়েছে করোনা। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ১৩ হাজার ৯৩৮ এবং মৃতের সংখ্যা ৭২৪।
খবর২৪ঘন্টা/নই