বাগমারা প্রতিনিধি: চলতি বছরে রাজশাহীর বাগমারায় প্রাথমিক সমাপনী ও এবতেদায়ী পরীক্ষা গুলো সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কোন কোন কেন্দ্র সচিবদের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় এলাকার শিক্ষাবিদসহ শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। এলাকার সচেতন মানুষ অবিলম্বে তদন্ত পূর্বক ওই সকল কেন্দ্র সচিবদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা এবং ওই সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকদের কেন্দ্র সচিবের দায়ীত্ব না দেয়ার জন্য আহবান জানিয়েছেন।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরে উপজেলার দুই শতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে ২২ টি পরীক্ষা কেন্দ্রের মাধ্যমে প্রাথমিক সমাপনী (পিএসসি) ও এবতেদায়ী (জেডিসি) পরীক্ষায় ৭ হাজার ৪শ ৫৮ জন পরীক্ষার্থী অংশ গ্রহন করেন। পরীক্ষা সুষ্ঠভাবে অনুষ্ঠিত হলেও কোন কোন পরীক্ষা কেন্দ্রে সচিবদের প্রভাব বিস্তার ও ক্ষমতার অপব্যবহারের কারনে পরীক্ষার্থীদের মধ্যে বৈষ্যমের সৃষ্টি করা হয়েছে বলে একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকেরা জানিয়েছেন। পরীক্ষা কেন্দ্রের এমন দৃশ্যের খবর শুনে হতভাগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন শিক্ষার্থীদের অভিভাবকেরা। এমন ঘটনায় কচিকাচা ও কোমলমতি শিক্ষার্থীরা ভেঙ্গে পড়তে পারেন বলেন এলাকার সচেতন মানুষ মনে করছেন। তারা অবিলম্বে ওই সকল পরীক্ষার কেন্দ্র বাতিল ও কেন্দ্র সচিব সহ জড়িত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়েছেন। উপজেলার ঝিকরাসহ কয়েকটি প্রাথমিক সমাপনী পরীক্ষায় দায়ীত্ব প্রাপ্ত সরকারী কর্মকর্তাদের তোয়াক্কা না করে কেন্দ্রের সচিব ও শিক্ষকেরা ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে নিজেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের বেশী সুবিধা দিয়েছে। যার কারনে পরীক্ষার কেন্দ্রের অন্যান্য শিক্ষার্থীদের মন ভেঙ্গে গেছে অভিভাবকেরা জানিয়েছেন। কেন্দ্রেও দায়ীত্ব প্রাপ্ত কর্মকর্তাগন কোন ভাবেই কেন্দ্র সচিব ও শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে পারেনি। ব্যবস্থা নেয়ার চেষ্টা করলে কেন্দ্র সচিব ও অবৈধ ভাবে প্রবেশকারী শিক্ষকেরা ওই কর্মকর্তাকে নানা ভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে দাবীয়ে রাখার চেষ্টা করেছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা বাগমারা উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার সিদ্দীকুর রহমান জানান, বিষয়টি আমার নজরে এসেছে। উবর্ধন কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানিয়েছেন। অপর দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকিউল ইসলাম জানিয়েছেন, বিষয়টি তার নজরে আসেনি। সাংবাদিকদের কাছ থেকে তথ্য পাওয়ার পর তিনি বিষয়টির খোঁজখবর নিয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহন করবেন বলে জানিয়েছেন। এদিকে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব জাকিরুল ইসলাম সান্টু বলেন, এমন ঘটনা তার জানা নেই। তিনি খোঁজখবর নিয়ে ওই সকল কেন্দ্র সচিব ও কেন্দ্রে অবৈধ ভাবে প্রবেশকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারকে আহবান জানাবেন বলে জানিয়েছেন।
খবর২৪ঘন্টা/নই