তানোর প্রতিনিধি : তানোরে শেষ মুহূর্তে আলুর জমিতে ব্যাপক হারে পচন রোগ দেখা দিয়েছে। একাধিকবার কীটনাশক প্রয়োগ করেও দূর হচ্ছেনা পচন রোগ। ফলে মৌসুমি আলু চাষীরা চিন্তিত হয়ে পড়েছেন। এমনকি পচন রোগের কারণে অনেকে আলুর বয়স না হলেও উত্তোলন করতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। এতে করে ফলন বিপর্যয় ঘটছে মারাত্মক ভাবে। জানা গেছে, উপজেলায় ধান চাষের পর আলু চাষ হয় প্রচুর পরিমাণে। কিন্তু গত বছরে আলুতে প্রচুর লোকসান গুনতে হয়েছে চাষিদের। এজন্য গত বারের তুলনায় আলু চাষ কম হয়েছে। তারপরেও লাভের আশায় এবারো আলু চাষ করেছেন অনেকে। কিন্তু আবহাওয়া অনুকুলে না থাকার কারনে আলুর জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে পচন রোগ। উপজেলার তালন্দ ইউপি এলাকার দীর্ঘ দিনের আলু চাষি মইফুল জানান এবারে ৫০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। কিন্তু প্রতি জমিতে দেখা দিয়েছে পচন রোগ। রোগ দূর করতে একাধিকবার কীটনাশক প্রয়োগ করা
হয়েছে। কিন্তু কোন ভাবে রোগ দূর হচ্ছেনা। এক বিঘায় একবার কীটনাশক দিতে প্রায় ৩ হাজার টাকা গুনতে হচ্ছে। তিনি নারায়নপুর মাঠে আলুর চাষ করেছেন। তিনি আরো জানান উপজেলার প্রায় মাঠে পচন রোগ রয়েছে। একদিনও কৃষি অফিস থেকে কেউ আসেনা। এজন্য কীটনাশক ব্যবসায়ীদের পরামর্শে বিষ দেয়া হয়। একই মাঠে ৫০ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছেন রাব্বানী। তাঁর জমিতে ছড়িয়ে পড়েছে পচন রোগ। শরিফুল নামের আরেক চাষির ১২ বিঘা জমিতে রয়েছে পচন রোগ। তাঁরা জানান মোয়াজ্জেমের ১৩ বিঘা মহাসিনের ৪বিঘা জমিসহ পুরো মাঠেই ছড়িয়ে পড়েছে এরোগ।
চাষিরা জানান আলুর বয়স ৭৫ থেকে ৮০দিন চলছে। আর কিছু দিন পর আলু উত্তোলন শুরু হবে। কিন্তু পচন রোগের কারনে ফলন হবে কম, আলুতে দাগ হবে প্রচুর, সাইজও হবে ছোট। পাচন্দর ইউপি এলাকার আলু চাষি লুৎফর জানান ৮৫ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। মাঝে পচন রোগ দেখা দিয়েছিল, কীটনাশক ব্যবহার করে রোগ নিয়ন্ত্রনে ছিল। তিনি আলু উত্তোলন শুরু করেছেন। কিন্তু ফলনে দেখা দিয়েছে বিপর্যয়।
কৃষি অফিস জানায় এবারে উপজেলায় আলু চাষ হয়েছে ১২ হাজার ৩৫০ হেক্টর জমিতে। এপর্যন্ত ২ হাজার ২০ হেক্টর জমির আলু উত্তোলন হয়েছে। তবে পচন রোগের বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার শামিমুল ইসলামের ব্যাক্তিগত মোবাইলে ফোন দেয়া হলে তিনি রিসিভ না করায় এসংক্রান্ত কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি তাঁর।
এমকে