খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: বরিশালের উজিরপুর উপজেলার সাতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) জোহান বাড়ৈর (বিশু) বিরুদ্ধে ৮০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধার বয়স্ক ভাতার টাকা আত্মসাতের অভিযোগ পাওয়া গেছে। ভুক্তভোগী ফুলমালা বিশ্বাস সাতলা ইউনিয়নের রাজাপুর গ্রামের প্রয়াত মধু বিশ্বাসের স্ত্রী।
ফুলমালা বিশ্বাস অভিযোগ করেন, ২০১৭ সালের জুলাই মাসে বয়স্ক ভাতাভোগী হিসেবে তার নাম অন্তর্ভুক্ত হয়। ২০১৯ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রতি মাসে ৫০০ টাকা হিসেবে ২৪ মাসে মোট ১৫ হাজার হাজার টাকা ব্যাংকে জমা হয়। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি ওই টাকা উত্তোলনের জন্য জোহান বাড়ৈ তাকে নিয়ে উজিরপুর কৃষি ব্যাংকের হারতা শাখায় যান। এরপর তার আঙুলের ছাপ নিয়ে ব্যাংক কাউন্টার থেকে টাকা তোলেন। এ সময় জোহান বাড়ৈ ওই টাকা দুই ভাগ করে এক ভাগ তার হাতে দিয়ে বাড়ি চলে যেতে বলেন।
বৃদ্ধা ফুলমালা বিশ্বাস বলেন, তিনি টাকা গুনতে জানেন না। এ জন্য ব্যাংকে উপস্থিত কয়েকজনকে টাকা গুণে দিতে বলেন। টাকা গুণে তারা ৭ হাজার ৫০০ রয়েছে বলে জানান। এ সময় বাকি টাকার কথা জানতে চাইলে জোহান বাড়ৈ (বিশু) তাকে বলেন, বাকি টাকা অন্য আরেকজনকে দিতে হবে।
ফুলমালা বিশ্বাস বলেন, পরে বিষয়টি এলাকায় জানাজানি হলে ইউপি সদস্য জোহান বাড়ৈ (বিশু) গত ২৫ ফেব্রুয়ারি রাতে তার বাড়ি যান। ঘুম থেকে জাগিয়ে সাদা কাগজে আঙুলের ছাপ নিয়ে বলে বাকি টাকা আগের নমিনিকে দিতে হবে।
বৃদ্ধা ফুলমালা বিশ্বাস বলেন, এসব ঘটনা উল্লেখ করে ২৭ ফেব্রুয়ারি জেলা সমাজসেবা কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি জানতে পেরে ইউপি সদস্য জোহান বাড়ৈ তকে বাড়াবাড়ি না করার জন্য শাসিয়ে গেছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে সাতলা ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) জোহান বাড়ৈ (বিশু) জানান, তাকে জড়িয়ে অপপ্রচার করা হচ্ছে। বৃদ্ধা ফুলমালা বিশ্বাস ব্যাংকে গিয়ে একাই টাকা তুলেছেন। ব্যাংকে তার সঙ্গে তিনি যাননি। তার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাতের বিষয়টি রটানো হয়েছে।
সাতলা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক আযাদের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বলে তার ছেলে জানান।
উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম জানান, বিষয়টি শুনেছি। খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) প্রণতি বিশ্বাস জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই