1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
দাঁড়ি-বোরকার জন্য ভয়ঙ্কর নির্যাতন চীনের, গোপন তথ্য ফাঁস - খবর ২৪ ঘণ্টা
বধবার, ১৫ জানয়ারী ২০২৫, ০৫:৫৯ পূর্বাহ্ন

দাঁড়ি-বোরকার জন্য ভয়ঙ্কর নির্যাতন চীনের, গোপন তথ্য ফাঁস

  • প্রকাশের সময় : মঙ্গলবার, ১৮ ফেব্ুয়ারী, ২০২০

খবর২৪ঘন্টা নিউজ ডেস্ক: চীনে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের হাজার হাজার মুসলমানের ওপর নিপীড়ন ও নির্যাতনের নতুন দলিল ফাঁস হয়েছে। সেসব দলিলে দেশটির পশ্চিমাঞ্চলীয় শিনজিয়াং অঞ্চলে তিন হাজারের বেশি নাগরিকের দৈনন্দিন জীবনের যাবতীয় খুঁটিনাটিসহ ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণের প্রমাণ পাওয়া গেছে।

১৩৭ পৃষ্ঠার সে দলিলে প্রতিটি পৃষ্ঠায় ভিন্ন ভিন্ন কলাম এবং ছক কেটে ঐ মানুষেরা কতবার নামাজ পড়েন, কী পোশাক পরেন, কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন এবং তাদের পরিবারের সদস্যদের আচার আচরণের বিস্তারিত লিপিবদ্ধ করা হয়েছে।

তবে, চীনের সরকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছে এগুলো দেশটির সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থা মোকাবেলায় নেয়া পদক্ষেপের অংশ।

কিভাবে পাওয়া গেছে এসব দলিল
এসব দলিল অত্যধিক ব্যক্তিগত ঝুঁকি নিয়ে সংগ্রহ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, গত বছর শিনজিয়াং অঞ্চলের যে সূত্রের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণ সরকারি নথি পাওয়া গিয়েছিল, এবারও সেই সূত্রের মাধ্যমেই নতুন দলিলপত্র পাওয়া গেছে।

শিনজিয়াংয়ে চীনা নীতির একজন বিশেষজ্ঞ ড. অ্যাড্রিয়ান জেনজ, যিনি ওয়াশিংটনে ভিক্টিমস অব কম্যুনিজম মেমোরিয়াল ফাউন্ডেশনের একজন সিনিয়র ফেলো, তিনি মনে করেন ফাঁস হওয়া এসব দলিল আসল।

“এসব দলিল আমার দেখা এ পর্যন্ত সবচেয়ে জোরালো প্রমাণ যে চীনের সরকার কিভাবে ধর্মীয় বিশ্বাস ও চর্চার কারণে মানুষকে শাস্তি দিয়ে চলেছে।”

দলিলে পাওয়া ক্যাম্পগুলোর একটি ‘নাম্বার ফোর ট্রেনিং সেন্টার’ যেখানে গত বছরের মে মাসে শিনজিয়াংয়ে চীন সরকার আয়োজিত এক সফরে বিবিসির একটি দল গিয়েছিল।

সেসময় বিবিসির দলটির পাওয়া অনেক তথ্য উপাত্তের সত্যতা পাওয়া যাচ্ছে নতুন এসব দলিলে। সেখানকার অনেক মানুষের নিরাপত্তার স্বার্থে বিবিসি সেসময় অনেক তথ্য সম্পাদনা করে প্রকাশ করেছিল।

কী আছে দলিলে
নতুন দলিলে সংখ্যালঘু উইঘুর সম্প্রদায়ের ৩১১ জন মানুষের ব্যাপারে ব্যাপক ভিত্তিক অনুসন্ধানের অর্থাৎ তাদের পূর্ব ইতিহাস, ধর্মীয় আচার পালনের দৈনন্দিন রুটিন, তাদের আত্মীয়স্বজন, প্রতিবেশী এবং বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগের বিস্তারিত তথ্য রয়েছে এসব দলিলে।

রিপোর্টের শেষ কলামে সিদ্ধান্ত দেয়া হয়েছে, ঐ ব্যক্তিদের বন্দীশিবিরে আরো রাখা হবে নাকি তাদের ছেড়ে দেয়া হবে, অথবা আগে ছেড়ে দেয়া হয়েছে এমন কাউকে আবার বন্দি শিবিরে ফিরিয়ে আনতে হবে কিনা।

নতুন এসব দলিলের মাধ্যমে ঐসব ক্যাম্পকে এতদিন সাধারণ স্কুল বলে চীন যে দাবি করে এসেছে তা ভিত্তিহীন হয়ে পড়ছে।

প্রাপ্ত দলিল বিশ্লেষণ করে ড. জেনজ বলছেন, এসবের মাধ্যমে ওখানে চলা সিস্টেমের ব্যাপারে ধারণা যেমন পাওয়া যায়, তেমনি ক্যাম্পে থাকা মানুষের ‘আদর্শিক ও মনস্তাত্ত্বিক কাঠামো’ অনুযায়ী তাদের বিভক্ত করে পর্যালোচনা করার ব্যাপারেও ধারণা পাওয়া যায়।

বোরকা পরা, পাসপোর্ট করতে চাওয়ায় ‘সংশোধন’ শিবিরে
৫৯৮ নম্বর সারিতে একটি কেস রয়েছে, যেখানে হেলচেম নামের ৩৮ বছর বয়সী একজন নারীকে রি-এডুকেশন ক্যাম্পে পাঠানো হয়েছে, কারণ তিনি কয়েক বছর আগে বোরকা পরতেন। এটি অতীতের ঘটনার কারণে এবং নিয়ম বহির্ভূত শাস্তির একটি উদাহরণ মাত্র।

অন্যদের মধ্যে কেউ আছেন, যারা কেবল পাসপোর্টের আবেদন করার কারণে সংশোধন’ শিবিরে আসতে বাধ্য হয়েছেন, যার মাধ্যমে প্রমাণ হয় যে কেউ দেশের বাইরে বেড়াতে যেতে চাইলেও সেটাকে কর্তৃপক্ষ শিনজিয়াংয়ে উগ্রপন্থা হিসেবে বিবেচনা করে।

৬৬ নম্বর কলামে, মেমেত্তটি নামে ৩৪ বছর বয়সী একজন যুবক ঠিক এই কারণে বন্দি হয়েছেন, যদিও দলিলে উল্লেখ আছে তার কাছ থেকে, ‘বাস্তব কোন ঝুঁকি’ নেই।

আবার ২৩৯ নম্বর সারণিতে দেখা যায়, নুরমেমেট নামে ২৮ বছর বয়সী একজনকে রি-এডুকেশন কার্যক্রমে পাঠানো হয়েছে, কারণ একটি ওয়েব লিংকে ক্লিক করার মাধ্যমে তিনি ‘অনিচ্ছাকৃতভাবে’ একটি বিদেশী ওয়েবসাইটে চলে গিয়েছিলেন। তার আচরণের নিয়েও কোন অভিযোগ নেই বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে।

যে ৩১১ জন ব্যক্তিকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, তারা সবাই শিনজিয়াংয়ের দক্ষিণে কারাকাক্স কাউন্টি নামে এক শহরের বাসিন্দা, যেখানকার ৯০ শতাংশ মানুষ উইঘুর সম্প্রদায়ের।

উইঘুররা বেশির ভাগই মুসলমান, এবং তাদের মুখাবয়ব, ভাষা এবং সংস্কৃতির সঙ্গে চীনের প্রধান জাতিগোষ্ঠী অর্থাৎ যাদের হান চাইনিজ বলা হয়, তাদের চেয়ে বরং মধ্য এশিয়ার সাদৃশ্য বেশি।

সাম্প্রতিক কয়েক দশকে লাখ লাখ হান চাইনিজ শিনজিয়াংয়ে বসতি গড়ে তুলেছে। এরপর থেকে ক্রমে সেখানে এক ধরণের জাতিগত উত্তেজনা তৈরি এবং উইঘুরদের অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড থেকে বাদ দেয়া হচ্ছে এমন আশংকা ক্রমে বাড়ছে।

এ নিয়ে মাঝেমধ্যেই সেখানে বিক্ষোভ সংঘাতের ঘটনা ঘটে, বেইজিংয়ের পক্ষ থেকে যা কঠোরভাবে দমন করা হয়।

এজন্যই ক্রমে উইঘুর এবং শিনজিয়াংয়ের অন্য সংখ্যালঘু মুসলমান সম্প্রদায়সমূহ যেমন কাজাখ এবং কিরগিজ সম্প্রদায়ের লোকেরা সরকারের দমননীতির টার্গেটে পরিণত হয়েছেন, এবং তাদের বন্দি শিবিরে নেয়া হচ্ছে।

নতুন প্রকাশিত দলিলসমূহকে ড. জেনজ নাম দিয়েছেন ‘কারাকাক্স তালিকা’, তিনি বলছেন, এর মাধ্যমে এটাই প্রমাণিত হয় যে চীনের কর্তৃপক্ষ এখন যেকোন ভিন্নমতকেই আনুগত্যহীনতা মনে করছে।

আর সেই ‘আনুগত্যহীনতা’ দূর করার জন্য সরকার উইঘুরদের বাড়িঘর এবং অন্তরের ভেতরে পরিবর্তন আনতে চায়।

কর্তৃপক্ষ কিভাবে এসব অনুসন্ধান চালায়
২০১৭ সালে উইঘুর মুসলমানদের জন্য যখন কর্তৃপক্ষ বন্দীশিবির চালু করে করে, সেসময় কম্যুনিস্ট পার্টির কিছু বিশ্বস্ত কর্মী, যারা গ্রামভিত্তিক দলের সদস্য হিসেবে কাজ করত তারা উইঘুর সমাজের ভেতরকার তথ্য বের করে আনার কাজটি করে।

তারা প্রত্যেকে কয়েকটি করে বাড়ির দায়িত্ব নেয়, ঐসব বাড়িতে নিয়মিত আসা-যাওয়া করতে থাকে, বন্ধুত্ব করে এবং পরিবারের প্রতিটি সদস্য সম্পর্কে নোট নেয়। তাদের জীবনাচরণ, ধর্ম বিশ্বাস, বাড়িতে ধর্মচর্চার পরিবেশ অর্থাৎ কী কী আচার পালিত হয়, বাড়িতে কয়টি কোরআন শরীফ আছে—এমন সব বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে তারা।

দলিলের ১১ নম্বর কলামে প্রত্যেক ব্যক্তির পারিবারিক সম্পর্ক এবং সমাজে কাদের সঙ্গে তারা ওঠাবসা করেন তা লিপিবদ্ধ করা রয়েছে।

এর মাধ্যমে বোঝা যায় চীনা কর্তৃপক্ষ কিভাবে শিনজিয়াংয়ের মানুষজনকে এমনকি বন্ধুর অপরাধের কারণেও দোষী সাব্যস্ত করা এবং পুরো পারিবারিক ও সামাজিক সম্পর্কের সূত্র ধরে শাস্তি প্রদান করে চলেছে।

দলিলে লিপিবদ্ধ প্রতিজন মানুষের আত্মীয় ও বন্ধুদেরও পূর্ব ইতিহাস অনুসন্ধান করা হয়েছে। অর্থাৎ তাদেরও ধর্ম বিশ্বাস ও চর্চা, কখনো বিদেশে গেছেন কিনা কিংবা কখনো বন্দীশিবিরে ছিলেন কিনা—এমন খুঁটিনাটি তথ্যও রিপোর্টে যুক্ত করা হয়েছে।

এর মধ্যে দেখা গেছে তালিকাভুক্ত প্রায় সবারই আত্মীয়স্বজন বিদেশে থাকেন, আর বিদেশে থাকাকে কর্তৃপক্ষ যে কোন নাগরিকের আনুগত্যহীনতার সম্ভাব্য কারণ বলে মনে করে।

রিপোর্টের ১৭৯, ৩১৫ এবং ৩৪৫ নম্বর সারণীতে ৬৫ বছর বয়সী ইউসুফ নামের ব্যক্তির কথা উল্লেখ করা হয়েছে, যার দুই মেয়ে ২০১৪ এবং ২০১৫ সালে বোরকা পড়তেন, এবং ছেলের ইসলামি রাজনীতির সংশ্লিষ্টতা রয়েছে।

এবং এই পুরো পরিবারটির ‘হ্যান বিরোধী মূল্যবোধ’ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

তার ক্ষেত্রে রিপোর্টে রায় দেয়া হয়েছে, তার ‘সংশোধন’ প্রক্রিয়া চালিয়ে যেতে হবে, এবং এটি অন্যতম একটি উদাহরণ যে কেবল নিজের জন্য নয়, পরিবারের জন্যও শাস্তি পেতে হচ্ছে মানুষকে।

গ্রাম পর্যায়ের দল থেকে সংগ্রহ করা তথ্য শিনজিয়াংয়ের মূল তথ্য ভাণ্ডার, যা ইন্টিগ্রেটেড জয়েন্ট অপারেশনস প্ল্যাটফর্ম আইজেওপি নামে পরিচিত সেখানে সংরক্ষণ করা হচ্ছে। এই আইজেওপির কাছে থাকে ঐ অঞ্চলের নজরদারি এবং পুলিশি কর্মকাণ্ডের রেকর্ড।

যা ক্যামেরা নিয়ন্ত্রিত বিস্তৃত এক নেটওয়ার্ক এবং প্রত্যেক নাগরিককে বাধ্যতামূলকভাবে যে মোবাইল স্পাইওয়্যার ডাউনলোড করতে হয় তার মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয়।

ড. জেনজ মনে করেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে আইজেওপি এসব তথ্য যাচাই করে এবং এখান থেকেই গ্রামের অনুসন্ধান দলের কাছে নির্দেশনা পাঠায় কাদের ওপর নজরদারি চালাতে হবে।

ফাঁস হওয়া দলিলে অনেকজনের নামের শেষে ‘অবিশ্বস্ত’ বিশেষণ যুক্ত করা হয়েছে, মোট ৮৮ জন ব্যক্তিকে এজন্য বন্দীশিবিরে রাখার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।

ড. জেনজ বলছেন, এ তথ্য প্রমাণ করে যে কর্তৃপক্ষ এমন একটি ব্যবস্থা তৈরি করেছে যা অপরাধের জন্য নয়, বরং একটি পুরো অঞ্চলের মানুষকে সন্দেহমূলক কর্মকাণ্ডের জন্য চিহ্নিত করা হচ্ছে।

সরকার কী বলছে
চীন বলছে, শিনজিয়াংয়ের নীতিতে নাগরিকের প্রতি ‘সম্মান এবং তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস চর্চার স্বাধীনতা’ নিশ্চিত করা হয়েছে। শিনজিয়াংয়ের ভোকেশনাল ট্রেনিং নামে যে প্রকল্প চালু আছে, সেটি ‘সন্ত্রাসবাদ এবং ধর্মীয় উগ্রপন্থা’র বিরোধী লড়াই এর অংশ।

যারা সন্ত্রাস ও ধর্মীয় উগ্রপন্থা সংক্রান্ত কোন অপরাধের দায়ে সাজাপ্রাপ্ত, এসব শিবিরগুলোতে তাদেরই কেবল ‘সংশোধন’ করা হচ্ছে।

কিন্তু প্রাপ্ত দলিলে দেখা গেছে, কারাকাক্স তালিকায় বন্দীশিবিরে রাখার জন্য বিবিধ কারণ দেখানো হয়েছে, যার মধ্যে ধর্মীয়, পাসপোর্ট, পরিবার, বিদেশে যোগাযোগ কিংবা অবিশ্বস্ত হবার মত কারণের উল্লেখ রয়েছে।

তবে এর মধ্যে চীনের পরিবার পরিকল্পনা নীতি অমান্য করার কারণে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষকে বন্দীশিবিরে রাখার কথা বলা হয়েছে।

ঐ তালিকায় সন্ত্রাস ও ধর্মীয় উগ্রপন্থার মত অপরাধের সঙ্গে সম্পৃক্ততা ছিল এমন ছয় ব্যক্তির নাম রয়েছে, এবং দুইজন আছেন যারা নিষিদ্ধ ভিডিও দেখেছেন।

২০১৮ সালে উইগার মুসলমানদের ওপর নিপীড়নের অভিযোগ ওঠার পর থেকে চীন সরকার বিষয়টি অস্বীকার করে আসছে।

দলিলের সত্যতা
নতুন ফাঁস হওয়া এই কারাকাক্স তালিকায় কর্তৃপক্ষের কোন স্ট্যাম্প বা কোন সরকারী চিহ্ন নেই, ফলে কেবল তালিকা দেখে এর সত্যতা নিশ্চিত করা কঠিন। ধারণা করা হয় গত বছর জুনের শেষ দিকে আরো কিছু স্পর্শকাতর দলিলের সঙ্গে বিপুল পরিমাণ সরকারি নথি শিনজিয়াংয়ের বাইরে পাঠিয়ে দেয়া হয়।

নির্বাসনে থাকা বেনামী একজন উইঘুর নেতার কাছে পাঠানো হয় সেগুলো। কেবল এই একটি দলিল, যা এখন ফাঁস হলো সেটি তখন পাঠানো হয়নি।

জুনে সেসব দলিলের প্রথম অংশ প্রকাশিত হবার পর, আমস্টারডামে বাসকারী আরেকজন নির্বাসিত উইঘুর আসিয়ে আব্দুলাহেবের কাছে সেগুলো পাঠিয়ে দেয়া হয়।

তিনি বিবিসিকে বলেছেন, তিনি নিশ্চিত যে নতুন প্রকাশিত দলিলটি ‘জেনুইন’ অর্থাৎ আসল।

“কাগজপত্রের ওপর স্ট্যাম্প থাকুক আর না থাকুক, যে মানুষদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে তারা সব আসল, বাস্তবের মানুষ। সুতরাং এটি আসল দলিল।”

২০১৮ সালে জানা যায়, শিনজিয়াং প্রদেশে উইঘুর মুসলমানদের ‘সংশোধনের’ জন্য পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ বন্দীশিবির গড়ে তুলেছে চীনের কর্তৃপক্ষ। বিশ্বব্যাপী সমালোচনার মুখে পড়ে চীন দাবি করে ঐগুলো বন্দীশিবির নয়, কর্মমুখী প্রশিক্ষণকেন্দ্র।

গত বছরের শেষে চীন ঘোষণা দেয় তাদের ঐ ‘কর্মমুখী প্রশিক্ষণকেন্দ্র’গুলোতে থাকা শিক্ষার্থীর সবাই গ্র্যাজুয়েট অর্থাৎ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে।

তবে কেউ কেউ ‘স্বেচ্ছায়’ সেখানে আরো কিছুদিন থাকবেন বলেও উল্লেখ করে কর্তৃপক্ষ।

কারাকাক্স তালিকার ৩১১ জনের মধ্যে ৯০ শতাংশ মানুষকেই ইতিমধ্যে মুক্তি দেয়া হয়েছে বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এই তালিকায় ২৫ জনের বেশি মানুষকে বন্দীশিবির থেকে মুক্তি দিয়ে শিল্প পার্কে কর্ম সংস্থানের জন্য পাঠানোর সুপারিশ করা হয়েছে।

তবে তালিকার দুইটি ক্ষেত্রে বন্দীশিবির থেকে জেলখানায় পাঠানোর কথা উল্লেখ আছে। বিবিসি।

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST