পাবনা ব্যুরো: অধ্যক্ষের নির্দেশে প্রধান ফটক তালা মেরে বন্ধ করে দেওয়া ও কলেজের বিভিন্ন বিভাগের প্রধান গেটের তালা সুপার গøু দিয়ে আটকে দেওয়ার ঘটনা ঘটেছে পাবনার ঈশ্বরদী সরকারী কলেজে।
সোমবার কলেজে গিয়ে প্রধান ফটক ও শ্রেণিকক্ষ তালাবদ্ধ দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা ক্লাস না করেই কলেজ থেকে ফিরে যান। এ ঘটনা জানাজানি হলে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন হাজার হাজার শিক্ষার্থীরা।
পরে এ ঘটনায় অভিযুক্ত ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুর রহিমসহ চার শিক্ষকের অপসারণ দাবিতে বিক্ষোভ ফেটে পড়েন শিক্ষার্থীরা। বিক্ষোভের এক পর্যায়ে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রধান গেটের তালা ভেঙে কলেজে প্রবেশ করে।
ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী ও ছাত্রনেতারা অভিযোগ করে জানান, কলেজের সামনের ১ দশমিক ২৭ একর জমির মালিকানা নিয়ে আদালতে বিচারাধীন মামলায় কলেজের বিপক্ষে অবস্থান নিয়ে কলেজের প্রধান ফটক তালা মেরে বন্ধ করে দিয়েছেন অধ্যক্ষসহ চারজন শিক্ষক। যা ঈশ্বরদী সরকারী কলেজে আগে কখনো ঘটেনি। শিক্ষার্থীরা কলেজে এসে এতে বিষ্ময় প্রকাশ করেন। কলেজের সামনে উত্তাল অবস্থার সৃষ্টি হলে ঈশ্বরদী সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ফিরোজ কবির ও ওসি বাহাউদ্দিন ফারুকীসহ পুলিশ ঘটনাস্থলে এলে পরিস্থিতী শান্ত হয়।
ঘটনাস্থলে উপস্থিত ঈশ্বরদী উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি রাকিবুল হাসান রনি বলেন, ৬০ বছরের পুরনো এই কলেজে সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের চলাচলের প্রধান ফটক তালা মেরে বন্ধ করে দেওয়ার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে আমরাও দাবি জানিয়েছি অধ্যক্ষসহ ৪ শিক্ষককে দ্রæত অপসারণ করা হোক। এই দাবিতে গণস্বাক্ষর যুক্ত অভিযোগ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের মাধ্যমে শিক্ষামন্ত্রীর নিকট প্রদান করা হবে।
কলেজের স্টাফ কাউন্সিলের সাধারণ সম্পাদক ও গণিতের বিভাগীয় প্রধান ম্যুরারি মোহন দাস বলেন, অধ্যক্ষের নির্দেশে কলেজের প্রধান ফটকে আমি তালা মেরেছি, এখন শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করছে জেনে তিনি আমাকে ‘পরিবেশ শান্ত রাখতে যা যা করা প্রয়োজন’ তা করতে বলেছেন।
ঈশ্বরদী থানার ওসি বাহাউদ্দিন ফারকী বলেন, কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি লিখিতভাবে প্রশাসনকে জানায়নি, কলেজের গেটে কে বা কারা তালা মেরেছে তা আমরা জানিনা। আমরা ন্যায়ের পক্ষে কাজ করবো। তবে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে।
ঈশ্বরদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিহাব রায়হান বলেন, ঘটনাটি শুনে আমি কলেজের অধ্যক্ষের সঙ্গে কথা বলেছি। তিনি কলেজের প্রধান ফটকে তালা মারার কথা স্বীকার করেছেন।
ঈশ্বরদী সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ আব্দুর রহিম এ সম্পর্কে বলেন, আদালতের নির্দেশনায় কলেজের প্রধান ফটকে তালা মেরে বন্ধ করা হয়েছে। তবে কলেজের শিক্ষার্থীদের যাতায়াতের জন্য পেছনে একটি গেট তৈরী করে দেওয়া হবে।
খবর২৪ঘন্টা/নই