1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
আদালতের রায়ের আগে রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে তোড়জোড় - খবর ২৪ ঘণ্টা
রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫, ০৬:৪৮ পূর্বাহ্ন

আদালতের রায়ের আগে রাবিতে শিক্ষক নিয়োগে তোড়জোড়

  • প্রকাশের সময় : রবিবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২০
রাবি প্রতিনিধি: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা নিয়ে আদালতে দায়ের করা মামলার রায়ের আগেই শিক্ষক নিয়োগ দিতে তোড়জোড় শুরু করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

রবিবার উপাচার্যের বাসভবনস্থ দপ্তরে ভাইভা বোর্ডের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অথচ আগামী ২৭ জানুয়ারি এ বিষয়ে চূড়ান্ত রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত।

ভাইভা বোডের্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ক্রপ সায়েন্স বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম। তিনি জানান, ২৪ জানুয়ারি তারিখ শিক্ষক নিয়োগের ভাইভা বোর্ড বসার কথা ছিল কিন্তু পরে তা স্থগিত করে আগামী ২৬ জানুয়ারি সকাল নয়টা থেকে ভাইভা অনুষ্ঠিত হবে।

বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্যদের সিদ্ধান্ত ছাড়াই এই নিয়োগ দেয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন কমিটির অধিকাংশ সদস্য। তারা বলছেন, বিভাগের শিক্ষক নিয়োগে আদালত নিষেধাজ্ঞা জারি করলে আর নিয়োগ দিতে পারবে না। তাই বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন রায়ের পূর্বে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করতে তোড়জোড় করছে।

মামলার চূড়ান্ত রায়ের আগে শিক্ষক নিয়োগ সম্পূর্ণ অবৈধ মন্তব্য করে মামলার পক্ষের আইনজীবী ব্যারিস্টার জ্যোর্তিময় বড়ুয়া বলেন, গত ১৫ জানুয়ারি মামলার শুনানী শেষে ২৭ জানুয়ারি রায়ের দিন ধার্য করেছেন আদালত। সেদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষের আইনজীবীকে বলেছেন আদালতের রায়ের পূর্বে প্রশাসন যেন কোনোকিছু প্রসিড না করে। আর প্রসিড করলে আদালত তার আইনানুযায়ী পানিশমেন্টের (শাস্তি) ব্যবস্থা করবেন। এখন প্রশাসন নিয়োগ দিলে সেটি আদালতবিরোধী হবে। আমরা মামলার রায়ের দিন বিষয়টি আদালতে উপস্থাপন করব।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০১৬ সালের ৬ই নভেম্বর সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক মিজানউদ্দীনের আমলে তিনটি পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। সেখানে ৩৮টি আবেদন জমা পড়ে। পরবর্তীতে বতর্মান প্রশাসন চলতি বছরের ৩০ জুলাই বিজ্ঞপ্তি সংশোধন করে পুনঃরায় প্রকাশ করে। এতে ৪৭টি আবেদন জমা পড়ে। নতুন করে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষক নিয়োগের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন বিভাগের প্ল্যানিং কমিটির সদস্য অধ্যাপক আলী আসগর।

রিটের প্রেক্ষিতে গত বছরের ২১ আগস্ট বিভাগটিতে শিক্ষক নিয়োগ বন্ধে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে মামলার বিবাদী রাবি উপাচার্য, রেজিস্ট্রার, কৃষি অনুষদের ডিন, ক্রপ সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগ ও প্ল্যানিং কমিটির সভাপতিকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে নির্দেশ দেন বিচারক শেখ হাসান আরিফ ও মো. বদরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ।

এদিকে আদালতকে ফাঁকি দিয়ে ‘অর্থের বিনিময়ে’ নিয়োগ দিতে প্রশাসন তৎপর বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী অধ্যাপক আলী আসগর। তিনি বলেন, বর্তমান প্রশাসন টাকার কাছে নত। তারা আদালতকে অমান্য করে নিয়োগ দিতে উঠে পড়ে লেগেছে। নিয়োগ দিতে পারলে তাদের আর্থিক উপার্জন হবে সেজন্য এমনটি করছে।

এমকে

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST