আন্তর্জাতিক ডেস্ক: দিন যতোই যাচ্ছে চীনে প্রাণঘাতি করোনাভাইরাসের প্রভাব আরও ভয়ঙ্কর হচ্ছে। প্রতিদিনই বাড়ছে মৃত্যুর মিছিল। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, হুবেই প্রদেশ থেকে সংক্রমণ শুরু হওয়া করোনাভাইরাসে রোববার (২৬ জানুয়ারি) পর্যন্ত ৫৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং এ পরিস্থিতিকে এরই মধ্যে ভয়াবহ বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থেকে এ মহাবিপর্যয় মোকাবিলা করার আহ্বান জানিয়েছেন।
২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছে ১৯৭৫ জন। কর্তৃপক্ষ বলছে, শুধুমাত্র হুবেই প্রদেশে ১৩ জনের মৃত্যু ও ৩২৩ জন নতুনকরে শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে।
প্রদেশটির স্বাস্থ্য বিভাগ বলছে, ১১ মিলিয়ন জনবসতির এ শহরে নতুন করে ৭ জনের মৃত্যু এবং ৪৬ জন্য আক্রান্ত হয়েছে।
অন্যদিকে, হুবেইর উত্তর সীমান্তের হেনা প্রদেশে একজনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। প্রথমবারের মতো সাংহাই শহরেও এ ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে একজনের মারা গেছে।
এরই মধ্যে চীন সরকার উহানসহ ১২টির বেশি শহরে ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। চীনের নতুন বছর উদযাপনের সব অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে।
গেল ডিসেম্বরে উহানে করোনাভাইরাস ধরা পড়ে। শনিবার চাইনিজ নববর্ষ উদযাপন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দেশটির বিভিন্ন শহরে তা বাতিল করা হয়েছে। দেশটির বেশ কিছু শহরে জরুরি মেডিক্যাল চেকআপের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে শহরে চলাচলকারী মানুষের শরীরে জ্বরের কোনো আলামত আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। এছাড়া একাধিক শহরে ট্রেন স্টেশন বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
তবে ভাইরাসের বিস্তার ঠেকাতে বিভিন্ন পদক্ষেপ নিচ্ছে চীন। এরইমধ্যে আক্রান্তদের চিকিৎসায় নতুন একটি হাসপাতাল নির্মাণের কথা জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। আগামী ১০ দিনের মধ্যে ২৫ হাজার বর্গফুটের হাসপাতালটি রোগীদের চিকিৎসাসেবায় কাজ শুরু করবে। যাতে শয্যা থাকবে এক হাজার। এছাড়া আরও একটি হাসপাতাল তৈরি করা হবে যাতে ১৩শ রোগীর ধারণ ক্ষমতা থাকবে।
এমকে