আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ভারতে ‘বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী’ সন্দেহে বুলডোজার দিয়ে গুঁড়িয়ে দেওয়া হল পুরো একটি বস্তি। অথচ পরে দেখা গেছে, ওই বস্তিতে কোনো বাংলাদেশি থাকতেন না। বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্মানা আগ্রাহারায় এ ঘটনার ফলে খোলা আকাশের নীচে দিন কাটাচ্ছে কয়েকশো মানুষ।
পৌরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়, ওই অবৈধ বস্তি গড়ে ওঠার ফলে এলাকায় শান্তি বিঘ্নিত হচ্ছে। এ নিয়ে একাধিক অভিযোগ আসছিল। ওই অভিযোগের ভিত্তিতেই রোববার বস্তিটির ১০০ ঝুঁপড়িঘর ভেঙে ফেলা হয়।
আনন্দবাজার পত্রিকা জানায়, উচ্ছেদ হওয়া বাসিন্দাদের দাবি- তারা কেউ বাংলাদেশি নন। সকলেরই ভারতীয় নাগরিকত্বের নথিপত্র রয়েছে। তাদের সবাই হয় ভিন্ন ভিন্ন রাজ্য থেকে এসেছেন। কেউ আসাম থেকে কেউ ত্রিপুরা থেকে কাজের সূত্রে ওই বস্তিতে থাকতেন।
ওই বস্তির বাসিন্দারা আধার কার্ড, ভোটার পরিচয়পত্র, প্যান কার্ডের মতো নথিপত্র দেখিয়েছেন। আবার আসাম এনআরসিতে নাম রয়েছে এমন কয়েকজনও সে প্রমাণ দেখিয়েছেন।
ত্রিপুরা থেকে আসা কালারাম বলেন, এখানে নিরাপত্তারক্ষীর কাজ করে মাসে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা রোজগার হয়। বাড়িতেও টাকা পাঠাতে হয়। এই রোজগারে কীভাবে অন্যত্র গিয়ে মাসে ১৫-২০ হাজার টাকা দিয়ে বাড়ি ভাড়া করে থাকব?
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে একজন হলেন আসামের বাসিন্দা মুন্নির। তিনি বলেন, কোনো আগাম নোটিশ ছাড়াই বস্তিতে এসে ঘর ভাঙতে শুরু করে পুলিশ। ঘর থেকে মালপত্র বের করতে সময় পাইনি। বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ভেবে এসব করেছে পুলিশ। কিন্তু ওরা কেন আমাদের নথিপত্র দেখছে না।
পুলিশের দাবির বরাত দিয়ে আনন্দবাজার জানায়, তাঁরা কাউকে উঠে যেতে বলেননি। বেঙ্গালুরুর ডেপুটি পুলিশ কমিশনার এম এন অনুচেথ বলেন, কাউকে উঠতে বলা হয়নি। আমরা জমির মালিককে শুধু বাসিন্দাদের বৈধ নথিপত্র দিতে বলেছিলাম। ২০১৮ সালে উত্তর বেঙ্গালুরু থেকে একই ভাবে প্রায় ৬০ জন বাংলাদেশিকে চিহ্নিত করা হয়েছিল।
সম্প্রতি বিজেপি বিধায়ক অরবিন্দ লিম্বাভালি সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ভিডিও পোস্ট করেন লিখেন- বেঙ্গালুরুর কারিয়াম্মানা আগ্রাহারা এলাকায় অবৈধভাবে একটি বস্তি গড়ে তুলেছে বাংলাদেশিরা। তার পরেই ওই বস্তি ভেঙে ফেলে বেঙ্গালুরু মহানগর পুলিশ ।
এমকে