আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশ নাকি ‘জয় শ্রী রাম’স্লোগান তুলতে তুলতে হামলা চালিয়েছিল। আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি তাণ্ডবের পরিপ্রেক্ষিতে তৈরি হওয়া তদন্ত কমিটির রিপোর্টে সামনে এল এই চাঞ্চল্যকর তথ্য। বিগত দশ দিন আগে ঘটে গিয়েছিল আলিগড় বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে পুলিশি ও র্যাফ বাহিনীর তাণ্ডবের ঘটনা। খবর এই সময়ের
গত ১৫ ডিসেম্বর দিল্লির জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে পুলিশি হামলার প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন আলিগড় মুসলিম বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা। পড়ুয়াদের বিক্ষোভ আটকাতে গিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে নৃশংস তাণ্ডব চালায় আলিগড়ের পুলিশ। সেই ঘটনার পরেই ১৩ জন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। ঘটনার দশ দিনের মাথায় মঙ্গলবার সামনে এল ওই কমিটির রিপোর্ট। কমিটির সদস্য ছিলেন প্রাক্তন আইএএস হর্ষ মান্দার, শিক্ষাবিদ নন্দিনী সুন্দর, সমাজকর্মী জন দয়াল এবং নাতাশা ভাদওয়ার।
কমিটির রিপোর্ট থেকে জানা গিয়েছে, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে চত্বরে পুলিশ শব্দ গ্রেনেড ফাটিয়েছিল। যা যুদ্ধ পরিস্থিতিতে ব্যবহার করা হয়। এক পড়ুয়া টিয়ার গ্যাসের সেল ভেবে ওই গ্রেনেড হাতে তুলেছিলেন। সেটা তৎক্ষণাৎ পড়ুয়ার হাতেই ফেটে যায়। বাদ যায় ওই পড়ুয়ার একটি হাত।
পুলিশ এমনকি জয় শ্রী রাম স্লোগান তুলতে তুলতে পড়ুয়াদের ওপর হামলা চালিয়েছিল। পড়ুয়াদের স্কুটার বাইকে আগুন লাগিয়েছিল। পড়ুয়াদের ‘সন্ত্রাসবাদী’ও বলা হয়েছিল ওইদিন। অথচ এতকিছুর পরও বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করেছে। পড়ুয়াদের সুরক্ষার জন্য কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মানবাধিকার লঙ্ঘন করেছে আলিগড় পুলিশ এটবং র্যাফ বাহিনী।’
এমকে