নিজস্ব প্রতিবেদক : গতকাল শনিবারের মতো রোববারও কুয়াশার চাদরে ঢাকা ছিল পদ্মা পাড়ের শহর রাজশাহী। আর চারদিনের টানা তীব্র শীতে জুবুথুবু হয়ে পড়েন মানুষ। শনিবারের থেকে রোববার তাপমাত্রার পরিমাণ ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমেছে। প্রতিদিনই কমছে তাপমাত্রা। আর এর প্রভাব পড়ছে জনজীবনে। নগর জীবনের কোলাহল কিছুটা কমেছে। প্রয়োজনীয় কাজ ছাড়া বাইরে বের হচ্ছেন না মানুষ। শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস আর রোববার তা কমে দাঁড়ায় ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রিতে। রোববার ভোরে কুয়াশাচ্ছন্ন ছিল রাজশাহী। ভোরের আঁধার কেটে সকাল হলেও এদিনও সূর্যের দেখা মেলেনি। সকালের মিষ্টি রোদ না ফোটায় শীতের তীব্রতা না কমে বেলা বাড়ার সাথে
সাথে বাড়তে থাকে। দুপুর পৌনে ২টার দিকে একটু সূর্য দেখা দিলেও আবার হারিয়ে যায়। বিকেল থেকে ঠাণ্ডা বাতাস শুরু হলে ঠাণ্ডা বেশি অনুভূত হতে থাকে। এভাবে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নামার পর তীব্রতা আরো বাড়ে। শীতের দাপট থেকে রক্ষা পেতে মানুষ প্রয়োজনীয় কাজে বের হলেও অতিরিক্ত গরম পোশাক পরে বের হন। আর সমস্যার মধ্যে পড়েন ছিন্নমূল ও হত দরিদ্ররা। তবে গত শনিবার রাতে রাজশাহীর জেলা প্রশাসক বেশ কিছু এলাকায় কম্বল বিতরণ করেন। ঘুরে দেখা যায়, মায়েরা তাদের শিশুদের গরম পোশাক পরিয়ে চাদরে জড়িয়ে নিয়ে কাজ করছেন। ভ্যান, রিক্সা চালকরা পেটের তাগিয়ে
শীতের মধ্যেই নিজের কাজ করছেন। তবে গত দিনের মতো এদিনও রাস্তা-ঘাট ফাঁকা ছিল। শীতজনিত রোগে শিশু ও বয়স্করা হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। গ্রামাঞ্চলের হতদরিদ্ররা প্রয়োজন মত গরম কাপড় না পেয়ে খড়ে আগুন জ্বালিয়ে শীত নিবারন করেন। তাপমাত্রা আরো কমতে পারে বলে আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, রোববার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ ছিল ১৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের
আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ। উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার রাজশাহীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস। শুক্রবার রাজশাহীতে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিলো ২৬ দশমক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শনিবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১১ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ও সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ১৫ দমশকি ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সকাল ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯৭ শতাংশ ও সন্ধ্যা ৬টায় বাতাসের আদ্রতা ছিল ৯২ শতাংশ।
আর/এস