নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শেরে বাংলা হলে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আবরার ফাহাদ হত্যার সাথে জড়িতদের মধ্যে রাজশাহীর দুইজন রয়েছে। দু’জন হলেন, রাজশাহীর মোহনপুর উপজেলার বড়ইকুড়ি গ্রামের আনোয়ার হোসেনের ছেলে অনিক সরকার ও পবা উপজেলার কাপাসিয়া এলাকার মাকসুদ আলীর ছেলে মেহেদী হাসান রবিন। অনিক সরকার বুয়েট ছাত্রলীগের তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক। পুলিশ তাকে গ্রেফতার করেছে। বুয়েটের ছাত্র আবরারকে
পিটিয়ে হত্যা করার প্রাথমিক প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ তথ্য গণমাধ্যমকে জানান ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায়। গত সোমবার রাতে বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকসহ আবরার হত্যায় জড়িত ১৯ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন তারা বাবা। হত্যার ঘটনায় ৯ জন গ্রেফতার হয়। গ্রেফতার হওয়া ছাত্রলীগের অন্য নেতারা হলেন, বুয়েট শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মেহেদি হাসান রাসেল, সহ-সভাপতি মুস্তাকিম
ফুয়াদ, সহ-সম্পাদক আশিকুল ইসলাম বিটু, উপ-দফতর সম্পাদক মুজতবা রাফিদ, উপ-সমাজকল্যাণ সম্পাদক ইফতি মোশাররফ সকাল, উপ-আইন সম্পাদক অমিত সাহা, ক্রীড়া সম্পাদক সেফায়েতুল ইসলাম জিওন এবং গ্রন্থনা ও গবেষণা সম্পাদক ইশতিয়াক মুন্না। উল্লেখ্য, গত রোববার (৬ অক্টোবর) দিবাগত রাতে বুয়েটের শেরে বাংলা হলের দ্বিতীয় তলা থেকে আবরার ফাহাদের
মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি বুয়েটের ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। তাকে কক্ষ থেকে ডেকে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন ফাহাদের সহপাঠীরা। তিনি ছিলেন শেরে বাংলা হলের আবাসিক ছাত্র।
এস/আর