দুর্গাপুর প্রতিনিধি:
কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিপাতে রাজশাহীর দুর্গাপুরে মরিচ, পেঁপে, করলা, চিচিঙগা, মাসকলাই ও লাউ সহ বিভিন্ন সবজি ক্ষেতে মড়ক দেখা দিয়েছে। হঠাৎ আশ্বিনের টানা বৃষ্টির ফলে চাষিদের মাথায় হাত পড়েছে। চাষিদের অভিযোগ, গত কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিপাতে মরিচ, করলা, লাউ, পেপে ও বিভিন্ন সবজি ক্ষেতের ফুল-ফল নষ্ট হয়ে গেছে। বর্তমানে জমিতে জলাবদ্ধতায় অতিরিক্ত স্যাঁতসেতে থাকায় বিভিন্ন সবজি ফলের গাছ মরে যাচ্ছে। ফলে এবার ভারী বর্ষণের কবলে পড়ে লোকসান গুনতে হবে উপজেলার কয়েক হাজার সবজি চাষির।
সোমবার সরেজমিনে উপজেলার দেবীপুর, হাটকানপাড়া, শালঘরিয়া, শ্যামপুর, সুখানদিঘী, আলীপুর, বখতিয়াপুর, সূর্যভাগ, কাশিপুর, নান্দিগ্রাম এলাকার ফসলের মাঠ ঘুরে দেখা গেছে ভারী বর্ষণের ফলে চাষিদের ফসল ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ সময় চাষিরা প্রতিবেদককে জানিয়েছেন, এবার উপজেলায় বেশি পরিমাণ জমিতে ভুট্টা মরিচ করলা পেঁপে চিচিঙগা ও লাউ
চাষ সহ বিভিন্ন সবজি হয়ে ছিলো। বিভিন্ন ফসলের মাঠ থেকে চাষিরা আলু, পেঁয়াজ উঠানোর পর অনূকুল আবহাওয়া চাষিরা ভুট্টা মরিচ পেঁপে করলা ও লাউ চাষ করে ছিলেন। তাদের ফলন হয়েছিলো ভাল। কিন্তু চাষিরা তাদের ফসল মরিচ, করলা, পেঁপে, কফি ও লাউ গাছ গুলোতে ফুল ফল আসতে শুরু করেছে ঠিক তখনই টানা বৃষ্টিপাতে চাষিদের কপাল পুড়লো।
দুর্গাপুর পৌর এলাকার দেবীপুর গ্রামের কৃষক সান্টু মিয়া বলেন, তিনি প্রায় দেঁড় বিঘা জমিতে মরিচ চাষ করে ছিলেন ডাঙা জমিতে। প্রথম দিকে তিনি ওই মরিচ গাছগুলোতে কিছু টাকার মরিচ বিক্রি করেছেন। মাঝখানে গত কয়েক দিনের বৃষ্টিপাতে তার পুরো মরিচের ক্ষেত মরে সাবাড় হয়ে গেছে। উপজেলার হাটকানপাড়া গ্রামের আশরাফুল ইসলাম বলেন, বর্তমান বাজারে
লাউয়ের দাম বেশ ভাল। তিনি প্রায় ১বিঘা জমির উপর মাছা করে লাউ চাষ করে ছিলেন। প্রথম দিকে কিছু টাকার লাউ বিক্রি করলেও গত কয়েক দিনের ভারী বর্ষণে লাউয়ে ফুল ও ফল নষ্ট হয়ে যায়। বর্তমানে জমিতে অতিরক্ত নরম থাকায় তার লাউ গাছ মরে যাচ্ছে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, আমার সাথে রোপণ করা অন্য চাষিদের সবজি গুলোও একই অবস্থা। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মসিউর রহমান বলেন, এই উপজেলায় নয়। গত কয়েক দিনে সারাদেশেই প্রচুর পরিমাণ বৃষ্টি হয়েছে। এতে কৃষি ক্ষেত্রে উপকার হলেও টানা বৃষ্টিতে কৃষকের উঠতি ফসলের কিছু ক্ষতি হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে ক্ষতিগ্রস্ত তদন্ত সাপেক্ষে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের তালিকা তৈরি করা হচ্ছে। আর দু একদিনের আবহাওয়া ভাল হলে গেলে কৃষকের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে তিনি জানান।
এস/আর