খবর২৪ঘণ্টা ডেস্ক: নীলফামারীর ডিমলা ও লালমনিরহাটের পাটগ্রাম সীমানার ভারত সীমান্তের ৭৭২ প্রধান পিলারের কাছে ভারতীয় সীমান্তরক্ষীদের (বিএসএফ) গুলিতে নিহত বাংলাদেশি যুবক মোহাম্মদ বাবুল মিয়ার (২৪) মরদেহ ফেরত পেয়েছে তার পরিবার।
মঙ্গলবার (১৭ সেপ্টেম্বর) রাত ৯টার দিকে পাটগ্রাম উপজেলার দহগ্রাম সীমান্তে বিজিবির উপস্থিতে নীলফামারীর ডিমলা থানা পুলিশের কাছে বাবুল মিয়ার মরদেহ হস্তান্তর করে বিএসএফ।
পরে পুলিশ বাবুল মিয়ার মরদেহ তার বাবা নূর মোহাম্মদের কাছে বুঝিয়ে দেন। সেখান থেকে তার মরদেহ ডিমলা উপজেলার পশ্চিম ছাতনাই ইউনিয়নের কালিগঞ্জ গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এসময় কাঁন্নায় ভেঙে পড়েন নূর মোহাম্মদ।
মরদেহ গ্রহণের সময় ৫১ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল ইসাহাক মন্ডল, ডিমলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মফিজ উদ্দিন শেখ, পূর্ব ছাতনাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দলি লতিফ খান, দহগ্রাম পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক আবু হানিফ।
ডিমলা থানার ওসি মফিজ উদ্দিন শেখ বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসময় ভারতীয় ৫৪ বিএসএফের উপ-অধিনায়ক এসওয়াই খেঙ্গারু, কোচবিহার জেলার কুচলিবাড়ি থনার সার্কেল কর্মকর্তা পুরান রায় ও থানা পুলিশের কর্মকর্তা সুবাস চন্দ্র রায় উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, গত ৩ সেপ্টেম্বর সকালে নীলফামারীর ডিমলা উপজেলার সীমান্ত এলাকার কালিগঞ্জ গ্রামের বাবলু মিয়া ও ঝাড়সিংহেশ্বর গ্রামের সাইফুল ইসলাম তিস্তা নদীর চরে গরু চরাতে গেলে তারা ভুলক্রমে ভারত সীমান্ত রেখায় চলে যায়। এ সময় ওপারের উড়ান বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা বাবুল ও সাইফুলের ওপরে গুলি ছোড়ে। এতে ঘটনাস্থলেই মোহাম্মদ বাবুল নিহত এবং সাইফুল ইসলাম আহত হয়। এরপর হতাহতদের নিয়ে যায় বিএসএফ। সেদিন থেকে নিহত বাবুলের মরদেহ ও আহত সাইফুলকে ফেরত চেয়ে এলাকাবাসীসহ তাদের পরিবার সদস্যরা মানববন্ধনসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ঘটনার ১৪ দিন পর বাবুলের মরদেহ ফেরত দিলেও সাইফুলকে এখনও ফেরত দেয়নি বিএসএফ।
খবর২৪ঘণ্টা, এমকে