সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
সরকার দেশ পরিচালনায় সম্পূর্ন ব্যর্থ এবং দেশকে রক্ষা করার সক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছে। জনগণ হচ্ছে সকল ক্ষমতার উৎস। সেই জনগণকে বাদ দিয়ে সরকার আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের উপর নির্ভর করে দেশ পরিচালনা করছে। এদের উপর নির্ভর করে দেশকে একটি তলাবিহিন ঝুড়িতে পরিণত করেছে সরকার। সোমবার জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩৯তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার লক্ষে মুক্তির মিছিল ও সমাবেশে প্রধান অতিথি বক্তব্যে বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্ঠা সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য জননেতা মিজানুর রহমান মিনু এই কথা বলেন। তিনি বলেন, কোরবানীর ঈদের পশুর চামড়ার দাম কমিয়ে দিয়ে সরকার ছিন্নমুল ও হতদরিদ্র এবং এতিমদের হক নষ্ট করেছে। চামড়া বিক্রি করতে না পেরে জনগণ মাটির নিচে পুতে
দিয়েছে। কিন্তু শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এবং তাঁর যোগ্য উত্তরশ্বরী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে বিএনপি সরকারের আমলে এমন কখনো হয়নি। দেশের মানুষ সুখে শান্তিতে বসবাস করতেন। কারণ বেগম জিয়া দেশের মানুষের কথা চিন্তা করতেন। তাঁর স্বামী শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ছিলেন স্বাধীনতার ঘোষক। সেই কষ্টার্জিত স্বাধীনতা রক্ষায় বেগম জিয়া আপোষহীন ভাবে দেশ পরিচালনা করেছেন। এখনো আপোষহীন ভাবেই রয়েছেন। তাঁকে মিথ্যা মামলা দিয়ে কারাগারে রাখলেও সরকারের পাতানো ফাঁদে এবং প্লোভনে সায় না দিয়ে কারাগারে আছেন। গণতন্ত্রের মাতা বেগম জিয়ার মুক্তি ও গণতন্ত্র পুণরুদ্ধারে আগামীতে স্বেচ্চাসেবকদল অগ্রণী ভূমিকা রাখবে বলে তিনি কক্তৃতায় তিনি
উল্লেখ করেন। সেইসাথে বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের নেতাকর্মীদের বেগম খালেদার জিয়ার মুক্তির আন্দোলনে রাজপথে থাকার আহবান জানান মিনু।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন রিমন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও মহানগর বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক সম্পাদক আসলাম সরকার, যুগ্ম সাধারণ
সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য ও নওহাটা পৌর মেয়র শেখ মকবুল হোসেন, জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য ও তানোর পৌর মেয়র মিজানুর রহমান, সদস্য সৈয়দ মহসিন, সদস্য সিরাজুল ইসলাম ও আব্দুর রাজ্জাক, গোদাগাড়ী উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি আব্দুস সালাম শাওয়াল, আড়ানী পৌর সভার সাবেক মেয়র নজরুল ইসলাম, মোহনপুর উপজেলা সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুস সামাদ ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির সদস্য এ্যাডভোকেট মিতালী । সমাবেশ পরিচালনা করেন মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আবেদুর রেজা রিপন ও জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা। এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট,
জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি নুসরাত এলাহী রিজভী, সহ-সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ বাবলু, রাসেল বাবু, টিটু, সেন্টু, নিশান ও সোহাগ, মহানগর সেচ্ছাসেবক সাংগঠনিক সম্পাদক আনন্দ কুমার, জেলা সেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল আলিম রাসেল, সিনিয়র সহ-সভাপতি মাসুদুর রহমান লিটন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তাক ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মীর তারেক, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, জেলা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক শরিফুল ইসলাম জনি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ, জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুম ও রাবি’র যুগ্ম সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রাহীসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আর/এস