সংবাদ বিজ্ঞপ্তি :
বতর্মান সরকার ডেঙ্গু জ্বরের মুল ঘাতক এডিশ মশা নিয়ন্ত্রণে সম্পুর্ন ব্যর্থ। তারা শুধু কথা ও ফটো সেশনের মধ্যে দিয়ে সময় অতিবাহিত করছে। শনিবার সকালে প্রতিহিংসার বিচারে বন্দি, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা- সার্বভৌমত্ব ও জনগণের আস্থার প্রতীক বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তি ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে মহানগর বিএনপি’র আয়োজনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার অন্যতম উপদেষ্টা, সাবেক মেয়র ও সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু এই কথা বলেন। তিনি বলেন, মশা নিধনের জন্য নকল কীটনাশক
ক্রয় করে ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশনের মেয়র কোটি কোটি টাকা লোপাট করেছে। ডেঙ্গু নিয়ে জনগণকে বিভ্রান্তিকর তথ্য দিয়ে ধোকার মধ্যে ফেলে দিয়েছে সরকার। প্রতিদিন মানুষ মরলেও সরকারীভাবে তারা প্রকাশ করছে না। স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলছেন মৃত ব্যক্তিকে পুণরায় পরীক্ষা করে দেখতে হবে আসলেই সে ডেঙ্গু রোগে মারা গেছে কিনা কিনা। এডিশ মশা বর্তমানে সারা দেশে ছড়িয়ে পড়েছে। এছাড়াও ঈদের মধ্যে ঢাকার বাহিরে আরো ব্যপক আকারে ডেঙ্গু জ্বর হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি জনগণকে সর্তক থাকতে বলেন এবং জ্বর হলে সাথে সাথে বিশেষজ্ঞ ডাক্তরের পরামর্শ নেয়ার আহবান জানান তিনি।
মিনু আরো বলেন, এই সরকার বিনা কারণে শুধুমাত্র রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হয়ে বেগম খালেদা জিয়াকে কারাগারে বন্দি করে রেখেছে। বেগম জিয়ার শারীরিক অবস্থা খারাপ হওয়া সত্বেও তাঁকে জামিন দেওয়া হচ্ছে না। আবার নুতন করে বিএনপি নেতার্কীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে। আইনশৃংখলা বাহিনী সরকার প্রধানকে খুশি করার জন্য এই ধরনের নীতি বিবর্জিত কার্যক্রম করছেন। আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসনের সকল কর্মকর্তাদের জনগণ আইনের আওতায় এনে বিচার করবেন বলে জানান মিনু। সেইসাথে আগামীতে সকল প্রকার আন্দোলনে বিএনপি. অঙ্গ ও সহযোগি
সংগঠনের নেতাকমীদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রেখে আন্দোলনে ঝাপিটয়ে পড়ার আহবান জানান। লিফলেট বিতরণ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সভাপতি ও রাসিক সাবেক মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র আহবায়ক আবু সাইদ চাঁদ, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক ও রাজশাহী জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট শফিকুল হক মিলন ও বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও জেলা বিএনপি’র আহবায়ক কমিটির যুগ্ম আহবায়ক সাইফুল ইসলাম মার্শাল, জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সভাপতি এ্যাডভোকেট এরশাদ আলী ঈশা, মহানগর বিএনপি’র সাংগঠনিক
সম্পাদক আসলাম সরকার, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ওয়ালিউল হক রানা, জেলা বিএনপি’র সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জল, বাংলাদেশ কৃষক দল কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রাজশাহী জেলা কৃষক দলের সভাপতি আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু, জেলা কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক এ্যাডভোকেট হাসিবুল, তাঁতীদল কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম আহবায়ক শহিদুল্লাহ, বোয়ায়িা থানা বিএনপি’র সভাপতি সাইদুর রহমান পিন্টু, মতিহার থানা বিএনপি’র সভাপতি আনসার আলী ও ১নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি শহীদ আলম।
এছাড়াও মহানগর যুবদলের সভাপতি আবুল কালাম আজাদ সুইট, জেলা যুবদলের সভাপতি মোজাদ্দেদ জামানী সুমন, মহানগর যুবদলের সাধারণ সম্পাদক মাহফুজুর রহমান রিটন, জেলা যুবদলের সহ-সভাপতি সুলতান আহম্মেদ, মহানগর তাঁতী দলের সভপতি আরিফুল শেখ বনি, মহানগর যুবদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিপ্লব, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সিনিয়র
যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক খালেদ বীন তারেক, শ্রমিক দলের সাংগঠনিক সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন, মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি আসাদুজ্জামান জনি, সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রবি, মহানগর ছাত্রদলের যুগ্মা সাধারণ সম্পাদক আকবার আলী জ্যাকি, নাহিন আহম্মেদ ও জেলা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি রবিউল ইসলাম কুসুম ও রাবি’র যুগ্ম সম্পাদক সুলতান আহম্মেদ রানীসহ বিএনপি, অঙ্গ ও সহযোগি সংগঠনের অন্যান্য নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।
আর/এস