ওমর ফারুক:
রাজশাহীর জেলার ৯টি উপজেলা ও দুটি থানায় চলতি মৌসুমে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে ৭৪ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে। আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত আউশ মৌসুম শেষ হলে ১৬ জুলাই থেকে আমন মৌসুম শুরু হবে। আমন মৌসুম শুরু হতে হতে পর্যাপ্ত বৃষ্টি হতে পারে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহীর ৯টি উপজেলা ও দুটি থানায় আমন চাষ হলেও বরেন্দ্র এলাকা নামে পরিচিত তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলাতে বেশি আমন ধানের চাষ হয়। অন্য সময় কৃত্রিম সেচের অভাবে ধান বা অন্যান্য ফসল চাষ না হলেও বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে আমন ধান রোপন করা হয়। খরা মৌসুতে তানোর ও গোদাগাড়ী উপজেলায় বড় বড় মাঠ পতিত পড়ে থাকে
পানির অভাবে। কিন্ত আষাঢ়ের বৃষ্টিতে এসব জমিতে আমন ধান রোপন করা হয়।
তানোরে এ বছর ২২ হাজার ৫৫ হেক্টর ও গোদাগাড়ীতে ২৩ হাজার ৭৪৬ হেক্টর জমিতে আমন ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। রাজশাহী কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহী জেলার ৯ টি উপজেলা ও দুটি থানায় এবার মোট ৭৪ হাজার ৯৮১ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। এরমধ্যে রাজশাহীর মতিহার থানায় ২৫ হেক্টর, বোয়ালিয়া থানায় ১০ হেক্টর, পবা উপজেলায় ৯ হাজার ২২৫ হেক্টর, তানোর উপজেলায় ২২ হাজার ৫৫ হেক্টর, মোহনপুর উপজেলায় ২ হাজার ৮৫০ হেক্টর, বাগমারা উপজেলা ৭৮০ হেক্টর, দুর্গাপুর উপজেলায় ৫ হাজার ৪৮৫ হেক্টর, পুঠিয়া উপজেলায় ৫ হাজার ৭০৫ হেক্টর, গোদাগাড়ী উপজেলায় ২৩ হাজার ৭৪৬ হেক্টর,
চারঘাট উপজেলায় ৪ হাজার ১৫০ হেক্টর ও বাঘা উপজেলায় ৯৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধান রোপনের লক্ষ্যমাত্রা গ্রহণ করা হয়েছে। রাজশাহী কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. শামসুল হক বলেন, কৃষকদের দুঃশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। এখনো আমন রোপনের এক মাস সময় আছে। বর্ষাকালে বৃষ্টি হবে। দু’একদিন থেকে বৃষ্টি হালকা হালকা হচ্ছে। বৃষ্টির অভাব হলে কৃত্রিম উপায়ে সেচ দিয়ে আমন রোপন করবে কৃষকরা। এ ছাড়া এখনো আউশ মৌসুম চলছে। ১৫ জুলাইয়ের পর থেকে আমন মৌসুম শুরু হবে। তাই কৃষকদের দুঃশ্চিন্তার কোন কারণ নেই। কৃষকদের উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, যারা বীজতলা এখনো তৈরি করেননি তারা এখনো সময় আছে বীজতলা তৈরি করুন।
আর/এস