চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রতনিধি: চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ক্লিনিকে পুলিশ সদস্যের স্ত্রীর গর্ভের মৃত বাচ্চা অস্ত্রপচারের মাধ্যমে অপসারণকে কেন্দ্র করে দুই চিকিৎসকসহ তিনজনকে পুলিশের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছে। বুধবার দিবাগত রাতে শহরের সেবা ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গোয়েন্দা পুলিশের সদস্য খাদেমুল ইসলামের স্ত্রী ইভা গর্ভে মৃত সন্তান নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শহরের সেবা ক্লিনিকে ভর্তি হন বুধবার।
পরে সন্ধ্যা ৬টার দিকে অস্ত্রপচারের মাধ্যমে ডা. সালমা আখতার জাহান পলি মৃত বাচ্চা অপসারণ করেন। এ ঘটনার পর গোয়েন্দা পুলিশের এসআই জাহিদের নেতৃত্বে ৭/৮ জন সদস্য ওই ক্লিনিকে গিয়ে অসাদাচরণ শুরু করেন। এ সময় ডা. সালমা আখতার পলি নিজেকে একজন পুলিশ অফিসারের স্ত্রী পরিচয় দিলে তারা আরও ক্ষিপ্ত হয়ে অশালীন মন্তব্য করেন। এ নিয়ে চিকিৎসক ও কর্মচারীর সঙ্গে পুলিশের ধাক্কাধাক্কিও হয়।
এক পর্যায়ে এসআই জাহিদসহ কয়েজন চিকিৎসক ইসমাইল হোসেন ও ডা. ময়েজ উদ্দিনসহ এক কর্মচারীকে মারধর করেন। এ সময় ক্লিনিকে উত্তেজনার সৃষ্টি হয় এবং ক্লিনিক থেকে লোহার পাইপ নিয়ে পুলিশের ওপরও হামলা চালানো হয়।
উদ্ভূত পরিস্থিতিতে রাতে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহবুবুল আলম খান ও চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরে উভয়পক্ষ বৈঠক বসে সমঝোতা শেষে গণমাধ্যম কর্মীদের জানান, ভুল বুঝাবুঝির কারণেই এমন উদ্ভূত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
তবে মারধরের ঘটনার স্বীকার দুই চিকিৎসক ডা. ময়েজ উদ্দিন ও ডা. ইসমাইল হোসেন এ ব্যাপারে সাংবাদিকদের সাথে কোন কথা বলতে রাজি না হলেও তারা জানিয়েছেন, পুলিশের পক্ষ থেকে দুঃখপ্রকাশ করার মাধ্যমে উদ্ভূত পরিস্থিতির সমঝোতা হয়।
খবর২৪ঘণ্টা, জেএন