নিজস্ব প্রতিবেদক :
আর মাত্র কয়েকদিন পরেই পবিত্র ঈদুল ফিতর অনুষ্ঠিত হবে। ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রমজানের প্রথম সপ্তাহ থেকেই কেনাকাটা জমে উঠেছে। তবে নতুন পাঞ্জাবি ও পায়জামা পরে ঈদুল ফিতরের নামায আদায় করার জন্য ১৫ রোজার পর থেকে পাঞ্জাবির দোকানে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। একেবারে শেষ সময় হওয়ায় ক্রেতা ও বিক্রেতা উভয়ই ব্যস্ত সময় পার করছেন। পছন্দের পাঞ্জাবি কেনার জন্য ক্রেতারা ছুটছেন এক দোকান থেকে অন্য দোকান। এবারের ঈদে বিভিন্ন ধরণের পাঞ্জাবি এসেছে রাজশাহী মহানগরীর বাজারে। পাঞ্জাবির মান অনুসারে দাম ধরা হচ্ছে। তবে পায়জামার দাম অন্যান্য বছরের মতোই রয়েছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে রাজশাহী মহানগরীর নামি-দামী ব্রান্ডের শোরুম ও মার্কেটগুলোতে পাঞ্জাবি কিনতে গত দুই সপ্তাহ থেকে ভিড় জমাচ্ছেন ক্রেতারা। উদ্দেশ্য নতুন পাঞ্জাবি পায়জামা পরে ঈদুল ফিতরের
নামায আদায় করা। নগরীর যেসব মার্কেটের দোকানে পাঞ্জাবি কিনতে ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন তার মধ্যে অন্যতম হলো, নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব বাজারে অবস্থিত বিভিন্ন মার্কেট, নিউমার্কেট, অত্যাধুনিক থিম ওমর প্লাজা, হড়গ্রাম নিউমার্কেট। এসব মার্কেটে সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত ক্রেতারা ভিড় জমাচ্ছেন।
শিশু, কিশোর ও যুবকরা রঙ্গিন পাঞ্জাবি কিনলেও বয়ষ্ক লোকরা সাদা পাঞ্জাবি কিনছেন। সাদা পাঞ্জাবি ও পায়জামা কিনছেন। সাদা পাঞ্জাবির দাম প্রায় ৬৫০ টাকা থেকে শুরু করে প্রায় আড়াই হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। কিন্তু রঙ্গিন পাঞ্জাবি এক হাজার টাকা থেকে শুরু করে তিন থেকে চার হাজার টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে। পাঞ্জাবির সাথে ক্রেতারা পায়জামাও কিনছেন। পায়জামার দাম ১৫০ টাকা থেকে শুরু করে হাজার টাকা পর্যন্ত রয়েছে। তবে কম দামের পায়জামায় বেশি বিক্রি হচ্ছে। রোববার সরজমিনে নগরীর প্রাণকেন্দ্র সাহেব
বাজারের বিভিন্ন শোরুম ও দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ক্রেতারা পাঞ্জাবি কেনার জন্য ভিড় জমাচ্ছেন। এক দোকান থেকে অন্য দোকানে ছুটছেন ক্রেতারা। অবশেষে পছন্দের পাঞ্জাবি কিনে ফিরছেন ক্রেতারা। নগরীর প্রায় প্রত্যেক শোরুম ও দোকানে ক্রেতাদের দিনভর ভিড় দেখা গেছে। সকাল থেকে গভীর রাত পর্যন্ত এসব পাঞ্জাবির দোকান ক্রেতারা ভিড় জমায়। নগরীর সোনাদিঘীর মোড়ে পাঞ্জাবি কিনতে আসা রাহিমুল নামের এক যুবকের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদের নামায আদায় করার জন্য নতুন পাঞ্জাবি কিনছি। নতুন পাঞ্জাবি না কিনলে ঈদে ভালো লাগে না। তাই নতুন পাঞ্জাবি ও পায়জামা কিনতে এসেছি। তকে পাঞ্জাবির দাম অন্য বছরের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। সহিমুদ্দিন
নামের অপর এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, ঈদুল ফিতরে নতুন পাঞ্জাবি ছাড়া জমে না। নতুন পাঞ্জাবিতে নামায পড়ার মজায় আলাদা। সোনাদিঘীর মোড়ে অবস্থিত এক পাঞ্জাবি বিক্রেতার সাথে কথা তিনি বলেন, প্রথম ১৫ রোজা পর্যন্ত তেমন বেচাবিক্রি হয়নি। তবে ১৫ রোজার পর থেকে ভালো বিক্রি হচ্ছে। বেশি বিক্রি হলে বেশি লাভ হবে।
আর/এস
এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।