1. [email protected] : Abir k24 : Abir k24
  2. [email protected] : bulbul ob : bulbul ob
  3. [email protected] : Ea Shihab : Ea Shihab
  4. [email protected] : khobor : khobor 24
  5. [email protected] : অনলাইন ভার্সন : অনলাইন ভার্সন
  6. [email protected] : omor faruk : omor faruk
  7. [email protected] : R khan : R khan
ঈদ বাজারে রাজশাহীর নিম্নবিত্তরা ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে - খবর ২৪ ঘণ্টা
বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ০৫:৩৯ অপরাহ্ন

ঈদ বাজারে রাজশাহীর নিম্নবিত্তরা ভিড় জমাচ্ছেন ফুটপাতের দোকানগুলোতে

  • প্রকাশের সময় : শনিবার, ২৫ মে, ২০১৯
ফা্‌ইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদক :
পবিত্র ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে জমে উঠেছে রাজশাহী মহানগরীর ছোট ছোট মার্কেটসহ ফুটপাতের দোকানগুলো। ঈদের দিনটিতে সব মানুষই চাই সাধ্য অনুযায়ী নতুন পোশাক পরিধান করে ঈদ উৎসব পালন করতে। প্রত্যেক মানুষ নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঈদ উৎসব পালন করার জন্য আগাম প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছেন। তার অংশ হিসেবে রমজানের মাসের শুরুর দিক থেকেই কেনকাটা শুরু করেছেন নগরীর মধ্যবিত্ত ও নিম্নবিত্ত মানুষরা। ঈদ উপলক্ষে ধনী, গরীবসহ সমাজের সকল শ্রেণীর মানুষ কেনাকাটা করে থাকেন। নিম্নবিত্ত মানুষদের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে রাজশাহী মহানগরীর সকল ছোট-খাট মার্কেট ও ফুটপাতের দোকানগুলো। সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষদের কেনাকাটার জন্য একমাত্র ভরসা নগরীর ফুটপাতের দোকানগুলো। যেখানে তারা বছরের বিশেষ বিশেষ দিনগুলো

উপলক্ষে প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করে থাকেন। সমাজের নিম্নবিত্ত শ্রেণীর মানুষদের কেনাকাটা করার জন্য রাজশাহী মহানগরীর বিভিন্ন বাজারে ফুটপাতের দোকান রয়েছে। যে ফুটপাতের দোকানগুলোতে নগরীর নিম্নবিত্ত মানুষরা তাদের প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র কেনাকাটা করে থাকেন। প্রত্যেক বছরেই বিশেষ বিশেষ দিনগুলোতে এসব ফুটপাতের দোকানগুলোতে সাধ্য অনুযায়ী পছন্দের কেনাকাটা করার জন্য ভিড় জমান ক্রেতারা। বিশেষ করে প্রতি বছর ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আযহার পালনের আগ মুহূর্তে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। তাই বছরের ওই সময়গুলোতে দোকানদারদের চাহিদা অনুযায়ী বিক্রি ভাল হওয়ায় খুশি থাকেন ফুটপাতের বিক্রেতারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, রাজশাহী মহানগরীর নিম্নবিত্ত মানুষদের প্রয়োজনীয় কেনাকাটা করার জন্য নগরীতে বেশ কয়েকটি ফুটপাতের

বাজার রয়েছে। মার্কেটগুলো হলো, রাজশাহী মহানগরীর প্রাণ কেন্দ্র সাহেব বাজার, রাজশাহী রেলগেট সংলগ্ন ফুটপাতের বাজার, বাস টার্মিনাল এলাকা, লক্ষীপুর ফুটপাতের বাজার, রাজশাহী কোর্ট, বিনোদপুর বাজার, নওদাপাড়া বাজার, রাজশাহী কোর্ট স্টেশন বাজার, রাজশাহীর ভদ্রা মোড়সহ আরো কয়েকটি ফুটপাতের বাজার রয়েছে। এ ছাড়াও পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে নগরীর বিভিন্ন এলাকার মোড়ের ফুটপাতেও বসেছে ভ্রাম্যমাণ দোকান। যেখান থেকে মানুষ কেনাকাটা করছেন। উপরে উল্লেখিত মার্কেটগুলোতে সমাজের নিম্নবিত্ত মানুষরা তাদের পছন্দের জিনিস কেনাকাটা করে থাকেন। নগরীর বড় বড় ফুটপাতের বাজারগুলোর মধ্যে অন্যতম একটি ফুটপাতের বাজার হচ্ছে সাহেব বাজারে

অবস্থিত। সাহেব বাজারের ফুটপাতে যেসব জিনিস পাওয়া যায় তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, শার্ট, প্যান্ট, পাঞ্জাবি, টি-শার্ট, গেঞ্জি, টুপি, শাড়ি, থ্রি পিস এবং রকমারি কসমেটিকসের জিনিস। তবে জিনিসপত্রের মান অনুযায়ী দামটাও অনেক বেশি। শনিবার দুপুরের পরে সরজমিনে সাহেব বাজার ফুটপাতের বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, অনেক ক্রেতাই তাদের পছন্দের পোশাক দেখছেন। অনেককে আবার দর কষাকষি করতেও দেখা যায়। তবে বৃষ্টির হওয়ার পরেও দোকানগুলোতে ক্রেতাদের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। ফুটপাতের বাজারগুলোতে প্রতিটি শার্ট বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে শুরু সর্বোচ্চ ৩৫০ টাকায়, পাঞ্জাবি বিক্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৫০০ টাকায়, গেঞ্জি বিক্রি হচ্ছে ১০০ টাকা থেকে ১৮০ টাকায়, প্যান্ট বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকায়। জুতা বিত্রি হচ্ছে ২৫০ টাকা

থেকে ৫০০ টাকায়, স্যান্ডেল বিক্রি হচ্ছে ১৫০ টাকা থেকে ২৫০ টাকায়। এ ছাড়া বাজারের ছোট খাট মার্কেটগুলোতে মেয়েদের শাড়ি বিক্রি হচ্ছে ৩৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ৫০০ টাকায়, থ্রি পিস বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ টাকা থেকে সর্বোচ্ছ ৭৫০ টাকায়। মেয়েদের শাড়ি, উড়না, থ্রি পিস ছাড়াও ছিট কাপড় বিক্রি হচ্ছে।
মার্কেটগুলোর ছিট কাপড়ের দোকানেও নিম্নবিত্ত শ্রেণীর ক্রেতাদের ব্যপক ভিড় লক্ষ্য করা গেছে। তবে
নিম্নবিত্ত শ্রেনীর পরিবারের ছেলে-মেয়েদের ভারতীয় সিরিয়ালের পোশাক কিরণমালা এবং পিকু প্যান্ট পছন্দের শীর্ষে থাকলেও তা কিনতে ব্যর্থ হচ্ছেন ক্রেতারা। তাই পরিবারের অভিভাবকের সামথ্য অনুযায়ী কিনে দেয়া জিনিস নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হচ্ছে ছেলে-মেয়েদের। ফুটপাতের দোকানে বাজার

করতে আসা নাহিদ নামের এক ক্রেতার সাথে কথা হলে তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার জিনিস-পত্রের দাম একটু বেড়ে গেছে। তারপরেও প্রয়োজন অনুযায়ী পরিবারের সদস্যদের জন্য পোশাক কিনতে হচ্ছে। ঈদের দিন পরিবারের সাথে আনন্দ ভাগাভাগি করে নিতে এই কেনাকাটা করা।
কয়েকজন ফুটপাতের দোকানির সাথে কথা হলে বলেন, কয়েকদিন আগেও তেমন বিক্রি হয়নি। ১৫ রোজার পর থেকে কিছুটা বিক্রি বেড়েছে। সামনের কয়েকদিন আরো ভালো বেচাকেনা হবে। বিক্রি বেশি হলে লাভও ভালো হবে।

আর/এস

পোস্টটি শেয়ার করুন

এ ধরনের আরো খবর

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার সম্পুর্ণ বেআইনি।

Developed By SISA HOST